মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনভবনের নিচে সেপটিক ট্যাংক মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে : নওফেল

ভবনের নিচে সেপটিক ট্যাংক মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে : নওফেল

ভবনের নিচে সেপটিক ট্যাংক মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রতিটি দালানের নিচে সেপটিক ট্যাংকগুলোতে গ্যাস নির্গমনে যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়েছে কিনা তা তদারকি করতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, ওয়াসা ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) আহ্বান জানিয়েছেন। ১৯ নভেম্বর সকালে পাথরঘাটায় গ্যাস বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি এসব কথা বলেন। ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, এখানে অপরিকল্পিতভাবে দালান নির্মাণ করা হয়েছে। কোনও পরিকল্পনাগত ত্রুটি হয়েছে কিনা, এসব বিষয় যাচাই করা দরকার। কারণ ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে ডিজাইনে যদি ত্রুটি থাকে তাহলে সবার বসবাস করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। আমরা দালান নির্মাণ করেছি ঠিকই কিন্তু সেপটিক ট্যাংকগুলো যেখানে নির্মিত হয়েছে, সেখান থেকে উৎপাদিত মিথেন গ্যাস সঠিকভাবে বের হচ্ছে কিনা তা তদারকি করার সময় এসেছে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, ওয়াসা ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) এখনই ভবন পরিদর্শন করা উচিত। এই যে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, এটি শুধু গৃহের বাসিন্দাদের আহত করেনি রাস্তার পাশে চলা পথচারীরাও নিহত হয়েছেন সরাসরি। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাবো, তারা যেন পরিদর্শন কাজ দ্রুত শুরু করেন। তবে যাতে দালান মালিকরা হেনস্থের শিকার না হন সেই বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে। পরিদর্শন করে যদি ঝুঁকির কিছু পায় তাহলে তাদের নির্দেশনা ও সচেতনতার বিষয়ে ব্রিফ করতে হবে। কারণ অনেক ভবন মালিক জানেন না।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিস্ফোরণ ঘটার পর আমরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বিস্ফোরণের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে একটা ধারণা করছিলেন। আমরা চাই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হোক। তিনি বলেন, রাজধানীতেও কয়েকটা ঘটনা ঘটেছে। তবে বিস্ফোরণ খুব কম হয়েছে। যেহেতু বিস্ফোরণের মতো ঘটনা ঘটেছে তাহলে বুঝতে হবে প্রত্যেক ঘরের নিচে সেপটিক ট্যাংকগুলো সেভ নেই। গ্যাস যদি বের হওয়ার উপায় না থাকে তাহলে বিস্ফোরিত হবেই।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ