শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিঅনুপ্রবেশকারী মাদক দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স: চয়ন ইসলাম

অনুপ্রবেশকারী মাদক দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স: চয়ন ইসলাম

যুবলীগের জাতীয় কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম বলেছেন, মাদক, দুর্নীতি, চাঁদাবাজিসহ যে কোনো অপরাধে সম্পৃক্ত ও অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স। আগামী কংগ্রেসে তাদের সঙ্গে আমরা নাই। তারাও আমাদের সঙ্গে থাকতে পারবে না। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সংগঠনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার তিনি এ কথা বলেন। চয়ন ইসলাম বলেন, আগামী ২৩ নভেম্বর ৭ম জাতীয় কংগ্রেস বাস্তবায়নই আমাদের একমাত্র চ্যালেঞ্জ। আমরা সব ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করব। উৎসবমুখর পরিবেশে একটি সুন্দর কংগ্রেস আয়োজন করব। তিনি আরও বলেন, আমরা এক মাস একদিন সময় পেয়েছি। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি, অনেকগুলো উপ-কমিটি করছি।

সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চয়ন ইসলাম বলেন, যেখানেই অন্যায় দেখেছেন সেখানেই প্রতিহত করেছেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা। এর বাইরে আপনারা কী চান? প্রতিরোধ করেছেন, এখানে আর কোনো কথা থাকতে পারে না। যুবলীগের নানা অপকর্মে জড়ানোয় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের নিয়ন্ত্রণ ও প্রশ্রয় ছিল, এবারও নেতৃত্ব কি নিয়ন্ত্রকদের হাত দিয়েই আসবে? এ প্রশ্নে চয়ন বলেন, আমরা এটা বিশ্বাস করি না।

যুবলীগ নিয়ন্ত্রণ করেন একমাত্র আমাদের প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। এর বাইরে কোনো নিয়ন্ত্রক নেই। সুতরাং উনিই সিদ্ধান্ত নেবেন নেতৃত্ব কেমন হবে। জাতীয় কংগ্রেসের আগে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণসহ মেয়াদ উত্তীর্ণ শাখাগুলোর কমিটি দেয়া হবে কিনা? জবাবে চয়ন বলেন, জাতীয় কংগ্রেসে নতুন নেতৃত্ব আসবে, সেই নতুন কমিটি অন্য শাখা কমিটি দেবে।

যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ও কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব হারুনুর রশীদ বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে নতুন দিনের জন্য একটি সুন্দর সম্মেলন করে কমিটি দেয়াই আমাদের প্রধান কাজ। আমরা নেত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে আপনাদের নিয়ে এটি করব। দায়িত্ব পালনে সবার সহযোগিতা পাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, যুবলীগকে নিয়ন্ত্রণ করেন একমাত্র শেখ হাসিনা। তিনি যেভাবে বলবেন, সেভাবেই সংগঠন পরিচালিত হবে।

এ সময় প্রেসিডিয়াম সদস্য আতাউর রহমান, সাঈদুর রহমান সাঈদ, ফারুক হোসেন, মজিবুর রহমান চৌধুরী, আনোয়ারুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দীন মহি, সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক আতিক, এসএম জাহিদ, প্রচার সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু, উপ-স্বাস্থ্য সম্পাদক হেলালুদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাইনুল হাসান নিখিল, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা প্রমুখ সেখানে ছিলেন।

কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটি গঠনের পর মঙ্গলবারই প্রথমবারের মতো দলীয় কার্যালয়ে আসেন নেতারা। আহ্বায়ককে স্বাগত জানাতে দুপুরের পর থেকেই ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন। গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট থেকে কার্যালয়ের প্রবেশ পথ পর্যন্ত দুই পাশে দাঁড়িয়ে স্লোগানে স্লোগানে তারা প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে স্বাগত জানান। বিকাল ৪টায় সংগঠনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করার কথা থাকলেও আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব আসেন ৫টায়। এ সময় কার্যালয়ের ভেতরে নেতাকর্মীদের বাড়তি উপস্থিতির কারণে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। চাপ সামাল দিতে হিমশিম খান জ্যেষ্ঠ নেতারা।

তারা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর উত্তর-দক্ষিণের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছাড়া বাকিদের বের হয়ে যেতে বলেন। পরে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতারা প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ