মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনডা. শাহ আলম হত্যাকাণ্ডে জড়িত এক যুবক বন্দুকযুদ্ধে নিহত

ডা. শাহ আলম হত্যাকাণ্ডে জড়িত এক যুবক বন্দুকযুদ্ধে নিহত

সীতাকুণ্ড থেকে নগরের চান্দগাঁওয়ে ফেরার পথে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহ আলম হত্যাকাণ্ডে জড়িত এক যুবক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। ওই যুবকের নাম নাজির আহমেদ সুমন প্রকাশ কালু (২৬)। র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, ২৩ অক্টোবর ভোরে সীতাকুণ্ডের উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় র‌্যাব-৭ এর টহল দলের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নাজির আহমেদ সুমন প্রকাশ কালু ডা. শাহ আলমকে হত্যায় জড়িত ছিনতাইকারী দলের প্রধান বলে জানিয়েছে র‌্যাব। র‌্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ জানান, বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি একটি পিস্তলসহ ২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ২৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে কর্মস্থল সীতাকুণ্ড থেকে নগরের চান্দগাঁও এলাকার বাসায় ফিরতে একটি লেগুনায় উঠেন সৌদি আরবের মদিনা ফেরৎ ডা. শাহ আলম। ওই লেগুনায় আগে থেকেই দুজন ছিনতাইকারী ছিল। লেগুনাটি কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পর আরও দুজন ছিনতাইকারী লেগুনায় উঠে। লেগুনা আরও কিছুদূর গেলে চার ছিনতাইকারী মিলে ডা. শাহ আলমকে যা আছে তা বের করে দিতে বলে। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে ছুরিকাঘাতে খুন করে ছিনতাইকারীরা।

কাজী তারেক আজিজ বলেন, খুনের পর মরদেহের পরিচয় যাতে শনাক্ত করা না যায় সেজন্য ডা. শাহ আলমের মুখ বিকৃত করে দেয় ছিনতাইকারীরা। পরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মরদেহটি ফেলে পালিয়ে যায় তারা। তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই র‌্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে। পাশাপাশি গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়। তদন্ত করতে গিয়ে র‌্যাব জানতে পারে, লেগুনাতেই খুন হন ডা. শাহ আলম। পরে লেগুনাটির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে লেগুনা চালক ওমর ফারুককে (১৯) আটক করা হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ