অবক্ষয়ের রাজনীতি দেশের যুবসমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এখান থেকে এই যুব সমাজকে রক্ষার জন্য তাদের উন্নয়ন-সমৃদ্ধি-শান্তি ও আত্মত্যাগের রাজনীতির ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। জাতীয় পার্টি যুবকদের জন্য সেই রাজনৈতিক মঞ্চ তৈরি করে দেবে যেখান থেকে যুবকরা ইতিবাচক রাজনৈতিক আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশসেবায় নিজেদের নিয়োজিত করতে পারবে। ২২ অক্টোবর জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে জাতীয় যুবসংহতি ও জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলাদা মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের একথা বলেন।
তিনি বলেন, রাজনীতিতে এখন একটা শূন্যতা বিরাজ করছে। জাতীয় পার্টিকেই এই শূন্যতা দূর করতে হবে। কারণ, দেশের জনগণ এখন জাতীয় পার্টিকেই বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে দেখতে চায়। পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় পার্টি জনগণের দলে পরিণত হবে। জাতীয় পার্টি পরিণত হবে কর্মীবান্ধব দলে, মালিকানা থাকবে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের। নেতাকেন্দ্রিক দলে পরিণত হবে না। জাতীয় পার্টি দু’চারজনের স্বার্থে ব্যবহার হবে না।
এসময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, জাতীয় ছাত্রসমাজ, জাতীয় যুব সংহতি ও স্বেচ্ছাসেবক পার্টিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বয়সসীমা নির্ধারণ করা হবে। একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে সবাইকে জাতীয় পার্টিতে পদ ছেড়ে দেওয়া হবে। আগামী দিনের নেতৃত্ব সৃষ্টিতে এখন থেকেই যুবসংহতি ও স্বেচ্ছাসেবক পার্টিসহ অঙ্গ সংগঠনগুলোতে দায়িত্বশীল হতে হবে।
তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় যুব সংহতি ও স্বেচ্ছাসেবক পার্টির জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠান করতে হবে। প্রতিটি কাউন্সিলে গোপন ব্যালটে ভোটের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। কাউন্সিলের নামে লোক ভাড়া করে মহাসমাবেশ করলে চলবে না। প্রতিটি কাউন্সিলে প্রকৃত কাউন্সিলরদেরই উপস্থিত থাকতে হবে।
মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সুনীল শুভ রায়, অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুবসংহতির সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন, সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আহসান শাহজাদা, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মো. বেলাল হোসেন ও সদস্য সুমন আশরা প্রমুখ।