শরিয়াভিত্তিক ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের পরিধি বাড়ছে। দেশে ৫৯টি ব্যাংকের মধ্যে ঋণ-আমানতের এক-চতুর্থাংশই এখন ইসলামিক ব্যাংকগুলোর নিয়ন্ত্রণে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে পুরোদমে ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম চালাচ্ছে ৮টি ব্যাংক। এছাড়া ৯টি প্রচলিত (কনভেনশনাল) ব্যাংকের ১৯টি শাখা এবং ৮টি প্রচলিত ব্যাংকের ২৫ উইন্ডোর মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকিং চলছে। এসব ব্যাংক, শাখা এবং উইন্ডোতে মোট আমানতের পরিমাণ ২ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮ কোটি টাকা। যা দেশের সব ব্যাংকের মোট আমানতের ২৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
কিন্তু এক বছর আগেও এর পরিমাণ ছিল ২ লাখ ২৪ হাজার ৭৫৬ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে ইসলামী ব্যাংকিংয়ে আমানতের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। ২০১৪ সালে এর পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টদের মতে, মুসলিম দেশগুলোতে ইসলামিক ব্যাংকের চাহিদা অনেক বেশি। ধর্মীয় নিয়ম মেনে যারা ব্যবসা-বাণিজ্য ও লেনদেন করতে চান তারা সাধারণত ইসলামিক ব্যাংকগুলোতে লেনদেন করেন। এছাড়া দেশের ৯০ ভাগ ব্যাংক গ্রাহক মুসলমান। এ কারণেই দেশের ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের পরিধি দিন দিন বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৯ সালের জুন শেষে দেশের ব্যাংকগুলোতে ১ হাজার ২৬১টি ইসলামী ব্যাংকিং শাখা রয়েছে। ২০১৮ সালের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১৭৮টি। ইসলামী ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বিনিয়োগ হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে যা ছিল ২ লাখ ১৬ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা। ইসলামিক ধারার ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আগের বছরের তুলনায় দেশে কম রেমিটেন্স এসেছে এবার। জুন শেষে মোট রেমিটেন্সের ২৫ শতাংশ এসেছে শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। বিশেষ করে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসে প্রতি বছর। জুন (২০১৯) শেষে দেখা গেছে, ৯ হাজার ৭১২ কোটি টাকা এসেছে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।