বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
প্রচ্ছদটপআওয়ামী লীগের জন্য নিজের সবকিছুই ত্যাগ করেছেন এম এ মান্নান

আওয়ামী লীগের জন্য নিজের সবকিছুই ত্যাগ করেছেন এম এ মান্নান

FB_IMG_1569814230278তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার যে ঘাম-শ্রম এবং জীবনবাজির প্রচেষ্টা; সেই প্রচেষ্টাকে শাণিত করতে, শক্তিশালী করতে এম এ মান্নানের মত মানুষ আজ বড় বেশি প্রয়োজন। এম এ মান্নান ছিলেন জমিদার বংশের মানুষ; আওয়ামী লীগের জন্য কেবল জমিদারি নয়, নিজের সবকিছুই ত্যাগ করেছেন তিনি।
২৯ সেপ্টেম্বর সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাবেক মন্ত্রী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত এম এ মান্নান স্মরণ সভায় বক্তৃতাকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এম এ মান্নান স্মারক পর্ষদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, কর্মীবান্ধব এক নেতা ছিলেন এম এ মান্নান। তার কাছে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সকলেই যেতেন পরামর্শের জন্য। সবার নেতা ছিলেন তিনি। আমরা সবাই তার কাছে পরামর্শের জন্য যেতাম।
সভাপতির বক্তব্যে উপস্থিত সকলকে এমএ মান্নানের মত বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হবার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেন, সকল ভেদাভেদ ভুলে আমাদের একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে। এম এ মান্নান কখনও গ্রুপিং করতেন না। তার সারাজীবনের পরতে পরতে রাজনৈতিক ত্যাগের ইতিহাস। চট্টগ্রামে আমাদের মিছিলে পুলিশের উপস্থিতিতে বিএনপির তৎকালীন এমপি যখন হামলা চালায় আমি গুরুতর আহত হই। কেউ একজন আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে জানতে পারি এমএ মান্নান সাহেব ও এমএনএ আবু সালেহ সাহেবও আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন। এভাবেই তিনি দেশ ও তার নেতাকর্মীদের স্বার্থরক্ষায় বারবার আহত হয়েছেন ও জেলে গিয়েছেন। কিন্তু কখনও পিছিয়ে থাকেননি।
প্রাক্তন ছাত্রনেতা মুহাম্মদ সাজ্জাত হোসেন ও এম শাহাদাত নবী খোকার যৌথ সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সংসদ সদস্য ওয়াসিকা আয়েশা খানম, ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আকতার হোসেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদি, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য সৈয়দ নুরুল ইসলাম,প্রয়াত এম এ মান্নানের সন্তান চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল লতিফ টিপু,বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি (বিএনএ) সম্পাদক মিজানুর রহমান মজুমদার, চসিক কাউন্সিল তারেক সোলেমান সেলিম, প্রাক্তন ছাত্রনেতা নওশাদ মাহমুদ রানা, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক দিদারুল আলম দিদার, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, শওকত হোসাইন, অরুন সরকার রানা, সেলিম আকতার পিয়াল, তসলিম উদ্দিন রানা, এম এ রাশেদ সুরজিত দত্ত সৈকত প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা দিপংকর চৌধুরী কাজল, আব্দুল কাদের সুজন, আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা লিনা, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ হেলাল, শাহেদুল ইসলাম শাহেদ, ওয়াহিদুল আলম শিমুল, আ.ন.ম মিনহাজ উদ্দিন,বঙ্গবন্ধু, শিশু কিশোর মেলার সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম, এস এম সিরাজ, নুরুল আবসার, সাখাওয়াত হোসেন সাকু, জসিম উদ্দিন মিথুন, কক্সবাজার জেলা যুবলীগ নেতা এরশাদুল আবিদ, তানভীর আহমেদ রিংকু, নইম উদ্দিন খান, দিদারুল আলম, আহসানুল কবীর, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মোহাম্মদ ওমর ফারুক, মিথুন চৌধুরী, মোহাম্মদ রাশেদ, মোহাম্মদ ফরিদ, বোখারী শরীফ, ঢাকা পলিটেকনিক কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আ ম ই চৌধুরী সাজিদ, আব্দুর রহমান গাজী, সৌরভ দেব নয়ন প্রমুখ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ