শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
প্রচ্ছদটপরাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে অভিযানের দাবি যখন জোরালো হচ্ছে, তখনই থামিয়ে দেয়া হয়েছে অভিযান...

রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে অভিযানের দাবি যখন জোরালো হচ্ছে, তখনই থামিয়ে দেয়া হয়েছে অভিযান : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান অবৈধ সরকার জনগণের মধ্যে ইলিউশন তৈরি করার জন্য গত ১৮ সেপ্টেম্বর কথিত ক্যাসিনো, জুয়া ও মাদকবিরোধী শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছিল। ৬-৭ জনকে ধরার পর থলের বিড়াল বেরিয়ে আসার কারণে লোক দেখানো এই অভিযান স্থানু হয়ে গেছে। রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ-যুবলীগের মাঝারি নেতাদের ঘরে ঘরে অবৈধ টাকার সিন্দুক। ভল্ট, টাকশাল, কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, সোনাদানার খনি আবিষ্কার হওয়ার পর বড় নেতারা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন।

চারদিক থেকে যখন রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে অভিযানের দাবি জোরালো হচ্ছে, তখনই থামিয়ে দেয়া হয়েছে অভিযান। রাঘববোয়াল ও দুর্নীতির রথী মহারথীদের সুতার টানে এগোতে পারছে না অভিযান। বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, সরকারের নেতারা বলছেন, সুশাসনের আমেজ দিতেই নাকি ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান। হাস্যকর এই চমক আর আমেজ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল চুনোপুঁটিদের অফিস-বাড়িতে সিন্দুকে শত শত কোটি টাকার স্টক। সহজেই অনুধাবন করা যাচ্ছে-রাঘববোয়ালদের কাছে রয়েছে রাষ্ট্রের লুট হওয়া লাখ কোটি টাকা। ‘গতকাল খুলনায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে গত ১০ বছরে দেশের ৯ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে।

সরকার দেশকে হরিলুটের স্বর্গরাজ্য বানিয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, টেলিভিশনের খবরে বলা হচ্ছে ক্যাসিনোর চেয়েও বড় দুর্নীতি হয় পরিবহন সেক্টরে। কেবল রাজধানীতেই প্রতিদিন ১০-১২ কোটি টাকার চাঁদা ওঠে। অথচ সংশ্লিষ্ট ক্ষমতাসীন নেতা ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাই দুর্নীতি, মাদক, জুয়া ও কালোটাকার মালিকদের বিরুদ্ধে কম্বিং অপারেশন চালাতে চাইলে বিনাভোটের অবৈধ দুর্নীতিবাজ সরকার যদি মাথার ওপর বসে থাকে, তা হলে সেটি জনগণের কাছে নাটক ছাড়া অন্যকিছু মনে হবে না।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ