বৃহস্পতিবার, মে ২, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনআগামি প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পৃথিবী গড়তে হলে তামাক সেবন ও খাদ্যে ভেজাল...

আগামি প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পৃথিবী গড়তে হলে তামাক সেবন ও খাদ্যে ভেজাল বন্ধ করা ছাড়া বিকল্প নেই

খাদ্যে ভেজাল মিশ্রণ ও অনিরাপদ খাদ্য বিক্রি এখন আর শুধুমাত্র শহরে সীমাবদ্ধ নাই, শহরের গন্ডি পেরিয়ে প্রত্যন্ত গ্রামেও এর বিস্তৃতি ছাড়াও জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবও এর আওতামুক্ত নাই। আর জাঙ্ক ফুেডর নামে ফাস্ট ফুডের কারনে কোমলমতি শিশুরা নেশাগ্রস্থ হচ্ছে, যার কারনে শিশুর মেধা বিকাশ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। অতিমাত্রায় টেস্টিং সল্ট ও বিভিন্ন ক্যামিকেল ব্যবহারের কারনে খাদ্য এখন আর নিরাপদ নাই, অনেক খাদ্য বিষে পরিনত হচ্ছে। ফলে শিশুরা এখন বাড়ীতে তৈরী খাবারের চেয়ে ফাস্ট ফুডের দোকান, রেস্টুরেন্টে তৈরী খাবারে আসক্তি বেড়েছে। আর এ সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজেদের পকেট ভারী করছে। আর ভোক্তারা অসংগঠিত ও অসচেতন থাকার কারনে জীবন ও জীবিকার সাথে সম্পর্কযুক্ত অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসার অধিকার ভোগে প্রতিনিয়তই হয়রানি, প্রতারনা ও ঠকতে বাধ্য হতে হচ্ছেন। সংবিধানের আওতায় এ সমস্ত অধিকারগুলি নিশ্চিত করার সুস্পষ্ঠ ঘোষনা, প্রয়োজনীয় আইন ও কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা হলেও মানুষ তা পাচ্ছে না। অন্যদিকে ধুমপানের বিজ্ঞাপনের বিষয়ে ধুমপান বিরোধী আইন, বিধি নিষেধ থাকলেও নগরজুড়ে ধুমপানের বিজ্ঞাপন, এমনকি প্রশাসন, আদালত, হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলি, নগরীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিও ধুমপানের বিজ্ঞাপন ও বিক্রি মুক্ত নয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে ধুমপান বিক্রি নিষিদ্ধে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও তার সুফল এখনও আসেনি। অন্যদিকে ক্রীড়াঙ্গনগুলি এক সময় বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করলেও এখন এগুলো জুয়া, মদ ও টেন্ডার বন্টনের আসরে পরিনত হয়েছে। ফলে মাদকের আগ্রাসন এখন মহামারী আকারে সর্বত্রই বিস্তৃতি লাভ করেছে। তাই আগামি প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পৃথিবী গড়তে হলে তামাক সেবন ও খাদ্যে ভেজাল বন্ধ করা ছাড়া বিকল্প নেই।

২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ইং নগরীর চান্দগাও ল্যাবরেটরী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মিলনায়তনে ক্যাব ০৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ড কমিটির ওরিয়েন্টেশনে বিভিন্ন বক্তাগন উপরোক্ত মন্তব্য করেন। ক্যাম্পইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস’র সহায়তায় পিপলস জুবিল্যান্ট এনগেজমেন্ট ফর টোবাকো ফ্রি চিটাগাং সিটি প্রকল্প, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের আয়োজনে ওরিয়েন্টেশনে সভাপতিত্ব করেন ক্যাব ০৪ নং চান্দগাঁও ওয়ার্ড সভাপতি ও চান্দগাও ল্যাবরেটরী স্কুলে প্রতিষ্ঠাতা ইসমাইল ফারুকী। প্রধান অতিথি ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। ক্যাব ডিপিও জহুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় ওরিয়েন্টেশনে প্রধান বক্তা ছিলেন সিএমপির সাবেক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, কবি, মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, অতিথি ছিলেন ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান, চান্দগাঁও থানা সভাপতি জানে আলম, সহ-সভাপতি আবু ইউনুচ। আলোচনায় অংশনেন চান্দগাও ওয়ার্ড কমিটির সাধারন সম্পাদক কলিম উল্লাহ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ আবদুর রহমান, ক্যাব ৭ নং ওংয়ার্ডের অধ্যাপক এবিএম হুমায়ুন কবির, শিক্ষার্থী সাদিয়া শাহীনা ও বিবি আয়েশা পিংকি প্রমুখ প্রমুখ। ওরিয়েন্টেশনে বলা হয় সরকার আগামি ২০৪০ সালের মধ্যে দেশে তামাক নিমূর্লে উদ্যোগ নিয়েছে। মাদক সেবনের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিন্তু ধুমপান হলো মাদক সেবন শুরুর প্রথম সোপান। তামাকের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হলেও প্রকাশ্যে বিড়ি-সিপারেট, পান জর্দার বিজ্ঞাপন ও বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না। এমনকি জর্দা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের মালিককে রাস্ট্রীয় পুরস্কার প্রদান, রাস্ট্রীয় অর্থায়েন নির্মিত ছবিতে ধুমপানের দৃশ্য দেখানো হচ্ছে। নতুন নতুন ধুমপায়ী সৃষ্ঠিতে তামাক কোম্পানীগুলি নানা উপটৌকন ও প্রণোদনা দিচ্ছে। এগুলো দ্রুত বন্ধ করা উচিত।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ