মানুষের চিন্তার ভিন্নতা থাকলেও দেশ, মাটি, মানুষ, মুক্তিযুদ্ধ, চেতনা, বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্নে কোনো ভিন্নতা থাকতে পারে না। তাই শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা প্রতিটি নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।
২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে আন্দরকিল্লার নগর ভবন চত্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে মেয়র আ জ নাছির উদ্দীন এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা জন্মোৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি কবি অরুণ দাশগুপ্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সফল প্রধানমন্ত্রী, যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে অভীষ্ট লক্ষ্যে। তিনি আধুনিক, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমরা একসময় গরিব দেশ ছিলাম। অচিরেই আমরা উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবো।
তিনি বলেন, বিশ্ববাসী একবাক্যে স্বীকার করছে শেখ হাসিনা সৎ, দক্ষ, যোগ্য, সাহসী ও বিচক্ষণ সরকার প্রধান। তিনি যা অন্তরে ধারণ করেন মুখ দিয়ে তা উচ্চারণ করেন। মুখ দিয়ে যা উচ্চারণ করেন তা যত কঠিন, কষ্টকর, চ্যালেঞ্জের হোক না কেন তিনি বাস্তবায়ন করেন। পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক রাজনীতি হয়েছে, বিশ্বব্যাংক, জাইকা অর্থায়ন প্রত্যাহার করেছে। এগুলো ছিল ষড়যন্ত্রের অংশ। আজ প্রমাণ হয়েছে যেখানে অর্থ ছাড় হয়নি সেখানে দুর্নীতি হতে পারে না। মিথ্যা, ভিত্তিহীন, কাল্পনিক বক্তব্য দিয়েছিল যাবে পদ্মা সেতু না হয়। কারণ এ সেতু উত্তরবঙ্গের চেহারা পাল্টে দেবে, শিল্পায়ন হবে, কর্মসংস্থান হবে। প্রধানমন্ত্রী জনগণের সহযোগিতা নিয়ে অতীব প্রয়োজনীয় পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন করছেন। অনেকে বলেছিলেন, এটি সরকারের পক্ষে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এটি এখন কল্পনা নয়, এটি বাস্তবতা। শুধু পদ্মা সেতু নয়, অনেক মেগা প্রকল্প হচ্ছে। এখন বিশ্বব্যাংক সরকারের পেছনে ঘুর ঘুর করে, কিভাবে কোন প্রকল্পে অর্থায়ন করা যায়। এখন সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কতটুকু সাহায্য নেবে।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের মধ্যে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন উল্লেখ করে মেয়র বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম অনুযায়ী প্রার্থনা করুন, সৃষ্টিকর্তা যাতে বিশ্বনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দীর্ঘায়ু করেন। যাতে উনার নেতৃত্বে আমাদের মূল লক্ষ্য প্রত্যেকটি মানুষের ভাগ্য পরির্তন করা, স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে পারেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির উদ্দিন তোতা, শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফর আলী, সংগঠক এমএ মান্নান শিমুল, প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান মিলন, মোহাম্মদ আসরার প্রমুখ।
