শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনবিশ্ব জলবায়ু সপ্তাহ পালন উপলক্ষে সীতাকুন্ড উপজেলায় সচেতনতামূলক র‌্যালী, মানববন্ধন ও আলোচনা...

বিশ্ব জলবায়ু সপ্তাহ পালন উপলক্ষে সীতাকুন্ড উপজেলায় সচেতনতামূলক র‌্যালী, মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বেসরকারী উন্নয়নসংস্থা সংশপ্তক, একশনএইড, মনীষা ও উপকূল সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সহায়তায় চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড উপজেলায় বিশ্ব জলবায়ু সপ্তাহ উদ্যাপন উপলক্ষে র‌্যালী, মানববন্ধন ও আলোচনা সভা ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। সীতাকুন্ড পৌরসদর এর পাবলিক লাইব্রেরী প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে সীতাকুন্ড মডেল থানার সামনে হয়ে উপজেলা প্রাঙ্গনে এসে  র‌্যালী শেষ হয় । র‌্যালী শেষে একটি মানববন্ধন এবং সীতাকুন্ড কেন্দ্রীয় শহীদ মিনাওে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । সংশপ্তকের প্রধান নির্বাহী লিটন চৌধুরীরর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সীতাকুন্ড উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)জনাব সৈয়দ মাহবুবুল হক, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সীতাকুন্ড প্রেসক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী,সমাজ সেবা অফিসার লুৎফুন্নেছা বেগম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: শাহআলম , মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ইঞ্জিনিয়ার কামরুদ্দোজা, ডা: মাহবুবুরর রহমান খান, মনীষা এর প্রধান নির্বাহী আজমল হোসেন হিরু, উপকূলের নির্বাহী পরিচালক জোবায়ের ফারুক লিটন এবং সমাজকল্যান ইয়ুথ সংগঠনগুলোর পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রথম প্রহর ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম সোহেল ও মানবতা ফাউন্ডেশনের সা: সম্পাদক ইশরামুল হক বাবু,লিও ক্লাব অব চিটাগাং সীতাকুন্ড, স্বপ্নীল যুব কল্যান সোসাইটি, প্রত্যয় কোচিং সেন্টার ।

বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ শিশু ‘ক্লাইমেট স্ট্রাইক’ বা ‘জলবায়ু ধর্মঘট’ নামের এই আয়োজনে অংশ নিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের স্লোগানের মূল কথা: “ক্লাইমেট জাস্টিস।” আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের যে প্রভাব এখনই পৃথিবীর মানুষের উপরে পড়ছে, ঝড়-বন্যা-দাবানল-খরা যেভাবে মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলছে, সেগুলো ভবিষ্যতে আরও বিপর্যয়কর হয়ে উঠবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে আজকের শিশুরাই। সেকারণে নিজেদের ভবিষ্যৎ রক্ষায় বড়দের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এই ছেলেমেয়েরা। আলোচনা সভায়  বক্তারা বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন ১০ শতাংশ এবং গমের উৎপাদন ৩০ শতাংশ হ্রাস পাবে। এছাড়াও বাংলাদেশে বিভিন্ন মৌসুমে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় অভিবাসন হয়, কৃষি মৌসুমে এই অভিবাসন বেশি হয়। ফসল না হওয়া বা কম হওয়া, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়া এবং বন্যা দেশের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি মানুষের আয়ের সুযোগ কমতে পারে। এসবের ফলে গ্রামের মানুষের শহরে ছোটার প্রবণতা বাড়বে এবং কাজের খোঁজে যে কোনোভাবে তারা বিদেশগামি হবে। সীতাকুন্ড উপজেলার স্থানীয় সামাজিক সংগঠন প্রথম প্রহর ফাউন্ডেশন, সীতাকুন্ড যুব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, মানবতা ফাউন্ডেশন, পন্থিছিলা মানব সেবা সংগঠনসহ,স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন ফেস্টুনসহকারে র্যা লী,মানববন্ধন ও আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ