বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন, সরকার এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সমন্বিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাবে। আজ ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় ৮ম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০১৯ কে সামনে রেখে আয়োজিত মেলাটি ২৬,২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের পর্যটন খাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি বেসরকারি বিনিয়োগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ইতোমধ্যেই আমাদের দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত হয়েছে। আমি দেশী-বিদেশী সকল বিনিয়োগকারীকে আমাদের পর্যটন খাতে বিনিয়োগ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
মাহবুব আলী বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প ইতিবাচক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার পর্যটন শিল্পকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে বিবেচনা করে এর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ইতোমধ্যেই বেশ কিছু যুগান্তকারী কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছেন। আরো কিছু পরিকল্পনা রয়েছে যা বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার পাশাপাশি পর্যটন খাত দেশের অন্যতম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত এ পরিণত হবে। বাংলাদেশের পর্যটন খাতের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বর্তমান সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।
তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির সাথে সাথে আমাদের নাগরিকদের ভ্রমণের প্রবণতা আগের থেকে অনেক বেড়েছে। বর্তমানে প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী নাগরিক দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে যান। প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য মন্ডিত আমাদের এই বাংলাদেশে এমন অনেক পর্যটন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা পৃথিবীর আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমি আমাদের নাগরিকদের কাছে অনুরোধ করবো বাইরে যাওয়ার আগে নিজের দেশের যে অপরূপ সৌন্দর্য রয়েছে তা আবিষ্কার করুন। দেশের ভিতরে বেশি বেশি ভ্রমণ করুন, নিজের দেশকে জানুন, নিজেকে জানুন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিমসটেক এর মহাসচিব শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত টিনা পি. সোয়েমার্নো, নেপালের রাষ্ট্রদূত ডঃ বাসুদেব মিশ্র, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভূবন চন্দ্র বিশ্বাস ও মেলার আয়োজক মহিউদ্দিন হেলাল।