শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়তাঁকে এ দেশের মানুষ হত্যা করতে পারে, এটা বিশ্বাস করতেন না বঙ্গবন্ধু

তাঁকে এ দেশের মানুষ হত্যা করতে পারে, এটা বিশ্বাস করতেন না বঙ্গবন্ধু

এ দেশের মানুষ তাকে হত্যা করবে এটা বিশ্বাস করতেন না বঙ্গবন্ধু; বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় এ কথা বলেন তিনি। খুনের রাজনীতির মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুর অবদান মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৫ই আগস্টের পর বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। ৭ই মার্চের ভাষণকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্য করে কারবালার ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এই দেশের মানুষ এমন একজনকে হত্যা করলো যে এই জাতিকে একটি দেশ দিয়ে গেল। জাতির পিতাকে হত্যার মধ্যদিয়ে রাতারাতি এ দেশ একটি খুনি রাষ্ট্রে পরিণত হলো।

দেশে রাজনৈতিক অত্যাচার-নিপীড়ন এবং গুম খুনের সংস্কৃতি শুরু হয়েছিলে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আমলে। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, জিয়া যে খুনের রাজনীতির শুরু করেছিলেন পরবর্তীতে সে সংস্কৃতি এগিয়ে নিয়েছেন খালেদা জিয়া।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের কাছে আমি এটা জিজ্ঞাসা করতে চাই? জিয়া যদি খুনি না হবে, আর তার হাতে প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি, যদি খুনিদের দল না হয় তবে স্যার টমাস ইউলিয়ামন কিউসি, এমপিকে কেন বঙ্গবন্ধু হত্যার তদন্ত করতে বাংলাদেশে আসতে দেয় নি?’

৭৫ এর ১৫ই আগস্ট বিএনপি দলের জন্ম না হলেও, দলের প্রতিষ্ঠাতা এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ছিলো। বিএনপির জন্ম খুনের মধ্য দিয়ে, সেই চরিত্র কখনই বদলাতে পারেনি বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যেমন স্বাধীনতা বিরোধী, গণহত্যাকারীদের হাতে দেশ তুলে দিয়েছিল। ঠিক খালেদা জিয়া একই ভাবে বুদ্ধিজিবী হত্যাকরী, গণহত্যাকারীদের হাতে তুলে দিয়েছে লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত আমাদের পতাকা। তাদের জন্মটাই হয়েছে হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে। আর সেই চরিত্রটা তাদের একটুও বদলায় নি।

২০০১ থেকে জঙ্গিবাদ-মানিলন্ডারিংয়ের নতুন সংস্কৃতি শুরু হয় বলেও মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রাজনীতির দুটি পথ আছে। একটা হচ্ছে সততার সাথে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে, মানুষের কল্যাণে কাজ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। আরেকটা পথ আছে যেটা এই সেনা শাসকরা সৃষ্টি করে গেছে, সেটা হচ্ছে আদর্শহীন,নীতিহীন পথ। শুধুমাত্র রাজনীতি করে অর্থ উপার্যন করা। অর্থের পেছনে ছুটে যাওয়া। অর্থের পেছনে যারা ছুটে, তারা এক সময় হোঁচট খায়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ