মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করেছিলেন। এ জাতির সম্মান, মর্যাদা আদায় ছিলো বঙ্গবন্ধুর মূল লক্ষ্য। পশ্চিমা শাসক গোষ্ঠীর বঞ্চনার অবসান ঘটাতে তিনি প্রথমে ছাত্রদের সংগঠিত করেন।
১৫ আগস্ট সকালে আন্দরকিল্লায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কেবি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এতিম সমাবেশ, খতমে কোরআন, মিলাদ মাহফিল, বিশেষ মোনাজাত ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
তিনি বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। যারা মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলো তারা চক্রান্ত শুরু করেছিলো। দেশ স্বাধীনের পর পঁচাত্তরের পনেরোই আগস্ট পরিকল্পিতভাবে ঠাণ্ডা মাথায় নিষ্ঠুর ও নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিলো। ওই সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে ছিলেন। এরপর শেখ হাসিনা অনেক সংগ্রাম করে দেশকে আজকের অবস্থানে নিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন পূরণে বাধা দিতেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছিলো তারা চিহ্নিত গোষ্ঠী।
মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাধীনতার সুফল দেশবাসী পাচ্ছেন। স্বাধীনতার আগে এদেশের মানুষের সামাজিক অবস্থান, আর্থিক অবস্থা কী ছিলো, আর এখন কী হয়েছে তা বিবেচনা করলেই বিষয়টি সহজে উপলব্ধি করা সম্ভব।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ১৪ বছরের কাছাকাছি সময় জেল খাটতে হয়েছে। এত ত্যাগ পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্ত। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্ক-বিভাজন কখনো কাম্য নয়। বাস্তবতাকে অস্বীকার করা যাবে না। সততা, স্বচ্ছতা ও দক্ষতা দিয়ে আমরা যারা এ দেশের নাগরিক আছি আমাদের যার যার যোগ্যতা, দায়িত্ব অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।
চসিক জাতির পিতার প্রতি সম্মান দেখাতে মাসব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বলে জানান মেয়র।
এর আগে সকালে সিটি করপোরেশন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এ সময় কাউন্সিলর, চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।