সামর্থ্য সাপেক্ষে মুসলমানদের অন্যতম আবশ্যকীয় ইবাদত পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে আজ। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিরা এশার নামাজ আদায় করে মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে মিনায় যাবেন। সেখানে রাতযাপন হজের অন্যতম সুন্নত। রাতযাপন শেষে মুসল্লিরা সারা দিন মিনাতেই থাকবেন। এখানে জোহর, আসর, মাগরিব, এশা ও ফজরের নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব। এখান থেকে পরশু সূর্যোদয়ের পর মুসল্লিরা যাবেন প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে। এ ময়দানে অবস্থান হজের মূল আনুষ্ঠানিকতার (ফরজ) একটি। ইহরামের কাপড় (আড়াই হাত বহরের আড়াই গজ কাপড় আর গায়ের চাদরের জন্য একই বহরের তিন গজ কাপড়) পরে জিকির-আসগারে মিনার পথে চলবেন হজযাত্রীরা।
কেউ যাবেন গাড়িতে, কেউবা হেঁটে। প্রত্যেক হজযাত্রীকে নিজ নিজ মোয়াল্লেম কার্যালয় থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, কখন মিনার উদ্দেশে রওনা দেয়া হবে। একই সঙ্গে দেয়া হয়েছে মিনার তাঁবু নম্বর সংবলিত কার্ড। ওই কার্ড সব সময় গলায় ঝুলিয়ে রাখতে হয়।
৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে মুসল্লিরা সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। সূর্যাস্তের পর প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফার উদ্দেশে রওনা দেবেন মুসল্লিরা। সেখানে রাতযাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন হাজীরা। পরদিন ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরে আসবেন তারা। মিনায় এসে বড় জামারাকে কঙ্কর নিক্ষেপ, কোরবানি ও মাথা মুণ্ডন বা চুল ছেঁটে স্বাভাবিক পোশাকে মক্কায় কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন। তাওয়াফ, সাই শেষে মিনায় ফিরে গিয়ে ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান ও প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন।
মোয়াল্লেম দফতর সূত্র জানায়, মিনায় জামারাতের কাছে মোয়াল্লেম নম্বর ৭ ও ৮-এর অধীনে থাকবেন বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় আসা হাজীরা। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে আসা হাজিরা থাকবেন ৩, ৪, ৬, ১১, ২০, ৫৭, ৫৯, ৬০, ৭৫-৭৭, ৯৯, ১০১, ১০৩ থেকে ১৩৭ মোয়াল্লেম নম্বরের অধীনে। মিনায় হাজীদের সহায়তার জন্য ২৪/৬২ নম্বর তাঁবুতে ৫ দিন বাংলাদেশ হজ কার্যালয়ের কার্যক্রম চালানো হবে।