শুক্রবার, মে ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়বড় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে প্রশ্নবিদ্ধ হবে দুদক

বড় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে প্রশ্নবিদ্ধ হবে দুদক

বড় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে দুর্নীতি দমন কমিশন, দুদকের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে মনে করেন আইনজীবীরা। দুদকের তদন্ত সক্ষমতা বাড়ানোর দাবিও তাদের। আর দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলছেন, বেশিরভাগই চুনোপুঁটি হলেও দুদকের হাত থেকে ক্ষমতাবানরাও বাদ যাচ্ছে না। দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সেমিনারে এসব মন্তব্য উঠে আসে।

দুর্নীতি দমনে আইনজীবী ও বিচার বিভাগের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করে হিউম্যান রাইটস ফর বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে দুদকের মামলা ও চার্জশিটের নানা দুর্বলতা তুলে ধরেন আইনজীবীরা। বড় দুর্নীতির তদন্তে দুদকের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।

হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের কিছু কর্মতৎপরতা আমরা দেখছি কিন্তু সেটা হলো চুনোপুঁটি অর্থাৎ যারা হলো ছোট দুর্নীতিবাজ। বেসিক ব্যাংক নিয়ে লেখালেখি হয়েই যাচ্ছে , টেলিভিশনে নিউজ হয়েই যাচ্ছে কিন্তু দুদক কিছু করতে পারেনি।

আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক স্থায়ী কমিটি এর সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু দুদকের সক্ষমতা বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেন এবং দেশে যে হয়রানি দুর্নিতি হচ্ছে তার সুরাহা একা দুদক দ্বারা হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আমির-উল ইসলাম বলেন, একটা মহাপ্লাবন এসেছে। দুর্নীতির প্লাবন। এই প্লাবন আমাদের রুখতে হবে। এজন্য আমাদের একটি আন্দোলন গড়তে হবে।

দুদকের জালে বেশিরভাগই চুনোপুঁটি হলেও ক্ষমতাবানদের বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে বলে জানান দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘সরকারদলীয়দের কিছু করা হয়না এটা ভুল। আমার তথ্যমতে ১০-১৫ জন রয়েছেন সরকার দলীয়। এ সময় সরল বিশ্বাস নিয়ে তার দেয়া বক্তব্য গণমাধ্যমে ভুলভাবে এসছে বলেও দাবি করেন দুদক চেয়ারম্যান। বক্তব্যে দুর্নীতি শব্দটি উচ্চারণ করেননি বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, প্রশ্নের উত্তরে যে বক্তব্য আমি দিয়েছিলাম তার ফুটেজ আপনাদের কাছে আছে, সেখানে দুর্নীতি শব্দটি আমি উচ্চারণ করিনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ