শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদঅর্থ ও বানিজ্য সময়বঙ্গবন্ধু কন্যা স্বপ্ন দেখেন, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ নিজে গাড়ি বানাবে : শিল্পমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু কন্যা স্বপ্ন দেখেন, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ নিজে গাড়ি বানাবে : শিল্পমন্ত্রী

দেশপ্রেমের কারণে বিএমডব্লিউ রেখে বাংলাদেশি প্রগতির গাড়ি চালান বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। ৬ জুলাই বিকেলে আগ্রাবাদের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলো সরেজমিন দেখতে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এসেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বিজনেস হাব। আমি চট্টগ্রামের তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলাম। আখতারুজ্জামান বাবু, মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রগতির বিরাট ভূমিকা রয়েছে। আমি নিজ চোখে দেখেছি। বঙ্গবন্ধু কন্যা স্বপ্ন দেখেন, প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ নিজে গাড়ি বানাবে, যাতে সবাই চড়বে। বঙ্গবন্ধুর অহংকার ছিল প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ নিয়ে। জাপানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতেন যদি পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তাকে হত্যা করা না হতো। তিনি বলেন, প্রগতির শ্রমিক-কর্মকর্তাদের মনে করতে হবে প্রগতির অংশীদার। দেশের বাজার বড়। পার্টস, ব্যাটারি তৈরি করবো যা লাভজনক হবে।

বিশেষ অতিথি ছিলেন দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম ও বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের অর্থনীতির হৃদপিণ্ড, প্রবেশদ্বার। আধুনিক গাড়ি বানালে ব্যবসায়ীরা প্রগতির গাড়ি কিনবে। প্রগতি দেশের সম্পদ। আমাদের সব পারতে হবে। মেডিসিন বিদেশে রফতানি করছি। চট্টগ্রাম বিএসটিআইয়ের আধুনিকায়ন জরুরি।

মিজানুর রহমান বলেন, প্রগতি ব্যাটারি, টায়ার, পার্টস করবো। সরকারিভাবে নয় বেসরকারি পর্যায়েও প্রগতির গাড়ি ব্যবহারে উৎসাহিত করা হবে। সিকেডির সংজ্ঞা দেওয়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারে আনতে হবে। অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। এর মধ্যে বকেয়া আদায়ও রয়েছে। বিআরটিসির কাছে ১৪৩ কোটি টাকা পাবে প্রগতি। প্রগতি টাওয়ার নির্মাণে বাধা দূর করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তৌহিদুজ্জামান বলেন, দেশে গাড়ি সংযোজন খাতে প্রগতি একমাত্র শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান, বঙ্গবন্ধু জাতিকে স্থানীয়ভাবে গাড়ি সংযোজন ও উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে প্রাথমিকভাবে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পণ্য ও গণপরিবহন খাত পুনর্গঠনের দায়িত্ব পড়ে প্রগতির ওপর। কয়েক বছর ধরে ১৭০ কোটি টাকা রাজস্ব দিচ্ছে প্রগতি।

প্রগতি ম্যানুয়াল পদ্ধতির উৎপাদন ব্যবস্থার পরিবর্তে অটোমেটিক অ্যাসেম্বল প্ল্যান্ট স্থাপন, ঢাকার তেজগাঁওতে প্রগতির মালিকানাধীন দেড় একর জমিতে ৩৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নিজস্ব অর্থায়নে ৩ বেইজমেন্টসহ ৩৭ তলা ভিত্তির ওপর ১৪ তলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ, সব বিভাগীয় শহরে সার্ভিস সেন্টার ও শোরুম, চট্টগ্রামের নাসিরাবাদে ৪ দশমিক ৩১ একরে গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানাসহ বেশ কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বগুড়া ও খুলনায় সার্ভিস সেন্টার নির্মাণকাজ চলছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বিপুল কর্মসংস্থানসহ প্রগতির ব্যবসা বহুগুণ সম্প্রসারিত হবে।

নতুন সংযোজন কারখানা স্থাপনের ২ বছরের মধ্যে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত যন্ত্রাংশ সংযোজনের মাধ্যমে ডিলেশন মেথডে প্রগতিকে প্রগ্রেসিভ ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে উত্তরণ এবং পরের ৭ বছরে ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে উন্নীত করা সম্ভব হবে। ২০২২ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বক্তব্য রাখেন প্রগতির কোম্পানি বোর্ডের পরিচালক জসিম উদ্দিন রাজিব, উপ প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) কায়কোবাদ আল মামুন, সিবিএর সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন, জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ