আমি কারো প্রিয়তম হওয়ার যোগ্যতা রাখিনা কারন মোসাহেবিতে আমি পটু নই।
আমি কারো আস্থাভাজন হওয়ার মত অতটা বিশ্বস্ত নই কারন তোষামোদ আমার আতে ঘা লাগে।
কেওই আমাকে অতটা ভরসা করতে পারেনা, কারন আমি অযথা গল্প বানিয়ে ভরসার প্লাটফরম তৈরিতে সিদ্ধহস্ত নই।
সমাজ সংসারে যেখানে ঐ সমস্ত গুনাবলি সম্পন্ন চরিত্রের মানুষের অধিকতর গ্রহণযোগ্যতা এবং বেশি প্রয়োজন।
সেখানে গুণহীন নির্লিপ্ত চরিত্রের মানুষের স্থান কোথায় ? নিশ্চই আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা।
মোসাহেবির এত এত সুবিধা থাকা সত্ত্বেও যেখানে আমি তা আত্মস্থ করতে অপারগ সেখানে সমাজ অপারগ হিসেবে নিকৃষ্ট তিলক দেয়ার আয়জন করতেই পারে।
সম্পর্কের দোহাই এতটা শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে আর ব্যাবহিত হতে দেয়া যায় না।
তথাকথিত আত্মার বা রক্তের সম্পর্ক ইদানিং রক্তশূন্যতার রুগীর মত ফ্যাকাসে রুপ ধারন করেছে।
সকল নিয়ম কানুনের উরধে উঠে প্রিয়তম হওয়ার মন্ত্র আত্মস্থ করা বা প্রয়োগ করা সকলের জন্য বেহেতর নয়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রিয়তমা না হয়ে অপ্রিয় হয়ে কিঞ্চিৎ অসুবিধায় জীবনযাপন করতেও অনেক সুখানুভূতির উদ্রেগ হয়।
হর প্রসাদ শাস্ত্রীর তৈল গল্পের সাথে একাত্মতা হয়ে বলতে হয়।
“তেলে তৈলাক্ত করার পরও পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়না যে যিনি তৈল প্রয়োগ করেছেন তাকেই হয়ত তৈলের মধ্যে পিছলিয়ে পড়ে হাবুডুবু খেয়ে জীবন ওষ্ঠাগত হতে পারে”।