প্রথম বৈঠকে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতিসংঘে উভয় দেশের স্থায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকলেও পরবর্তী ২০ মিনিটে দুই নেতা একান্তে কথা বলেন।
বৈঠকে শেখ হাসিনা বিগত ৪ বছরে বিভিন্ন নির্বাচনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মনমোহন সিংকে জানান, প্রায় ৭ হাজার নির্বাচনের একটি নিয়েও কোন অভিযোগ কেউ করেনি। প্রায় সবকটি নির্বাচনেই প্রধান বিরোধী দল বিএনপিরও প্রার্থী ছিল।
‘আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নানা বক্তব্য দিলেও ভেতরে ভেতরে তারা দলীয় প্রার্থী বাছাইসহ নির্বাচনের আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি চালাচ্ছে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের পর মনমোহন সিং তাদের কাছেও এ ধরনের খবর থাকার কথা জানিয়েছেন বলে জানা গেছে।
মনমোহন সিং বলেন, ‘স্বচ্ছ-সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তা শুধু বাংলাদেশের জন্যেই কল্যাণের হবে না, সেই গণতন্ত্রের সুবাতাস দক্ষিণ এশিয়ার সকল দেশে বিস্তৃত হবে।’
বৈঠকে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে জঙ্গি এবং সন্ত্রাসবাদ নির্মূল হয়েছে এবং বাংলাদেশের আপামর মানুষ এখন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে বলে মত দেন করেন মনমোহন সিং। পাশাপাশি একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। দুই নেতার মধ্যে সীমান্তে নানা বিষয়ে বিদ্যমান অসন্তোষ নিয়ে কথা হয় এ সময়। মনমোহন সিং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আশ্বস্ত করেন, আসন্ন অধিবেশনে সীমান্ত সম্পর্কিত একটি এজেন্ডা রয়েছে। বিরোধীরা সোচ্চার থাকলেও তারা সেটি পাস করার বিষয়ে আশাবাদি।
দুই পর্বে প্রায় ৪৫ মিনিটের বৈঠকের শুরুতেই মনমোহন সিং শেখ হাসিনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান। সাধারণ অধিবেশনে চমৎকার বক্তব্য উপস্থাপনের জন্যে শেখ হাসিনাকে মনমোহন সিং ধন্যবাদ জানান।