তিনি জানান, পণ্যের মোড়কের উপরিভাগে প্যানেলে বাংলা ভাষার অক্ষরের আকৃতিকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে ৫টি তথ্য থাকতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে-মোড়কের ভেতরের পণ্যের পরিচয়, নেট পরিমাণ বা সংখ্যা, সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য, পণ্য উৎপাদনের (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যবহারের মেয়াদোত্তীর্ণের) তারিখ, উৎপাদনকারী, মোড়কজাতকারী, পরিবেশক বা বিপণনকারীর নাম এবং কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ ঠিকানা। ৩ বছরের জন্য একটি পণ্যের মোড়কের নিবন্ধন সনদ নিতে ফি জমা দিতে হয় ১ হাজার ১৫০ টাকা।
২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটের (অতিরিক্ত) কথা উল্লেখ করে মামুনুর রহমান বলেন, কোনো ব্যক্তি যদি এ আইনের অধীন প্রণীত বিধি লঙ্ঘন করে মোড়কজাত আকারে যেকোনো পণ্য বিক্রি, পরিবেশন, সরবরাহ বা হস্তান্তর করেন, তাহলে তিনি অনূর্ধ্ব ১ বছরের কারাদণ্ড বা অনূর্ধ্ব ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সরকার দেশের ভোক্তাদের পণ্যের সঠিক মান, ওজন বা সংখ্যা, মূল্য, মেয়াদ, উৎপাদনকারীর ঠিকানা ইত্যাদি মাতৃভাষায় নিশ্চিত করতে এ আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করছে। সংশ্লিষ্টদের কাছে এ বার্তা পৌঁছে দিতে আমরা মতবিনিময়সহ নানা উদ্যোগ নিয়েছি। আশার কথা, ক্রমে সাড়াও পাচ্ছি বেশ।
বাংলায় ৫টি তথ্য মোড়কে মুদ্রণের বিষয়ে আইন হলেও বিএসটিআই’র উদাসীনতায় এখনো ভোক্তারা সুফল পাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন।
তিনি বলেন, এদেশের ভোক্তারা সবাই ইংরেজি লিখতে, পড়তে পারে না। তাই মাতৃভাষা বাংলায় মোড়কে ৫টি জরুরি বিষয় মুদ্রণের বাধ্যবাধকতার জন্য আইন করেছে সরকার। কিন্তু বিএসটিআই’র তদারকি, নজরদারি, উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি, অভিযান না থাকায় এখনো বেশিরভাগ পণ্যের মোড়কে ইংরেজিতে জরুরি তথ্যগুলো মুদ্রিত হচ্ছে। যা অনাকাঙিক্ষত ও দুর্ভাগ্যজনক। তিনি বলেন, আমাদের দাবি থাকবে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক কৌটা, টিনের কৌটায় ৫ জরুরি তথ্য যেন বাংলায় খোদাই বা অ্যাম্বোশ হরফে দেওয়া হয়। তাহলে নকল পণ্য সরবরাহ ক্রমে বন্ধ হয়ে যাবে।