শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়সারা দেশে ফিটনেসবিহীন গাড়ি সাড়ে ৪ লাখ, ঢাকাতেই দেড় লাখ

সারা দেশে ফিটনেসবিহীন গাড়ি সাড়ে ৪ লাখ, ঢাকাতেই দেড় লাখ

ঢাকাসহ সারা দেশে ফিটনেসহীন গাড়ি এবং চালকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে লাইসেন্স নিয়ে নবায়ন না করা গাড়ি ও চালকের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন আদালত।  বিআরটিএ সোমবার আদালতে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, সারা দেশে লাইসেন্সধারী ফিটনেসহীন চার লাখ ৫৮ হাজার ৩৬৯ গাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকা শহরেই রয়েছে এক লাখ ৬৮ হাজার ৩০৮টি। বিআরটিএর এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করার পর আজ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বিআরটিএর চেয়ারম্যান ও বিআরটিএর সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালককে এ আদেশ পালন করতে বলা হয়েছে।

এর আগে সকালে আদালতের নির্দেশে হাইকোর্টে হাজির হন বিআরটিএর সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক মাহবুব-ই-রাব্বানী। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক। বিআরটিএর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মঈন ফিরোজী ও রাফিউল ইসলাম। দৈনিক ডেইলি স্টার গত ২৩ মার্চ ফিটনেসহীন গাড়ি নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। প্রকাশিত প্রতিবেদনটি হাইকার্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। ওই দিন আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন। রুলের বিবাদীরা হচ্ছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজি, চেয়ারম্যান বিআরটিএ, ঢাকার ডিসি ট্রাফিক (উত্তর ও দক্ষিণ), বিআরটিএ পরিচালক (রোড নিরাপত্তা) ও দুদক চেয়ারম্যান।

রুলে ফিটনেসবিহীন গাড়ি, রেজিস্ট্রেশনবিহীন গাড়ি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর বিষয়ে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, পাশাপাশি সংবিধানের ৩২ ধারার আলোকে জীবন বাঁচার অধিকার বাস্তবায়নে কেন মোটর ভেহিক্যাল আইন, ১৯৮৩-এর বিধানগুলো সঠিকভাবে পালনের জন্য কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে বিআরটিএর চেয়ারম্যান, পুলিশ মহাপরিদর্শক, ঢাকার ট্রাফিক পুলিশের উত্তর ও দক্ষিণের ডিসি এবং বিআরটিএর সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক মাহবুব-ই-রাব্বানীক এ তথ্য জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই দিন বিআরটিএর সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালককে আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

ওই আদেশ অনুযায়ী, সোমবার বিআরটিএর পক্ষ থেকে একটি ও পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। একই সঙ্গে বিআরটিএর পরিচালক হাজির হন। আদেশের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক জানান, ঢাকাসহ সারা দেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ি এবং লাইসেন্স নিয়ে নবায়ন না করা চালকের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে সারা দেশে থাকা লাইসেন্সধারী ফিটনেসহীন চার লাখ ৫৮ হাজার ৩৬৯ গাড়ি এবং লাইসেন্স নিয়ে নবায়ন না করা চালকের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে বিআরটিএ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তাও এক মাসের মধ্যে জানাতে হবে। আদালতে বিআরটিএর আইনজীবী ব্যারিস্টার মঈন ফিরোজী জানান, সারা দেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ির সংখ্যা চার লাখ ৫৮ হাজার ৩৬৯ এবং ঢাকা শহরে এক লাখ ৬৮ হাজার ৩০৮টি। তবে বিআরটিএর লাইসেন্স ছাড়া গাড়ির সংখ্যা জানার সুযোগ নেই। এটি রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট কমিটি বলতে পারবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ