মঙ্গলবার, এপ্রিল ১৬, ২০২৪
প্রচ্ছদঅর্থ ও বানিজ্য সময়সংসদে শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপীর তালিকা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী

সংসদে শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপীর তালিকা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী

জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপীর তালিকা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একইসঙ্গে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানির কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছেন, এমন ১৪ হাজার ৬১৭ জনেরও পূর্ণাঙ্গ তালিকা ও তথ্য প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী। স্পীকার ড. শিরীর শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শনিবার সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে অর্থমন্ত্রী এ তালিকা দেন।
শীর্ষ ২০ ঋণ খেলাপীর মধ্যে আছে- চট্টগ্রামের সামানাজ সুপার অয়েল (এক হাজার ৪৯ কোটি টাকা), গাজীপুরের গ্যালাক্সি সোয়েটার এ্যান্ড ইয়ার্ন ডায়িং (৯৮৪ কোটি), ঢাকা সাভারের রিমেক্স ফুটওয়্যার (৯৭৬ কোটি), ঢাকার কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেম (৮২৮ কোটি), চট্টগ্রােেমর মাহিন এন্টারপ্রাইজ (৮২৫ কোটি), ঢাকার রূপালী কম্পোজিট (৭৯৮ কোটি), ঢাকার ক্রিসেন্ট লেদার ওয়্যার (৭৭৬ কোটি), চট্টগ্রামের এস এ অয়েল রিফাইনারি (৭০৭ কোটি), গাজীপুরের সুপ্রভ কম্পোজিট নিট (৬১০ কোটি) ও গ্রামীণ শক্তি (৬০১ কোটি)।
শীর্ষ ঋণখেলাপীদের অন্য ১০ প্রতিষ্ঠান হলো- গাজীপুরের সৌরভ স্পিনিং লিমিটেড (৫৮২ কোটি), ঢাকার কম্পিউটার সোর্স লিমিটেড (৫৭৫ কোটি), গাজীপুরের সিমরান কম্পোজিট লিমিটেড (৫৬৪ কোটি), সাভারের ম্যাক্স স্পিনিং মিলস (৫২৬ কোটি), ঢাকার বেটিটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (৫২৩ কোটি), ঢাকার আলপা কম্পোজিট টাওয়ালস লিমিটেড (৫২৩ কোটি), চট্টগ্রামের সিদ্দিক ট্রেডার্স (৫১১ কোটি), চট্টগ্রামের রুবিয়া ভেজিটেবল ওয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (৫০১ কোটি), চট্টগ্রামের রাইজিং স্টিল লিমিটেড (৪৯৫ কোটি) ও সাভারের আনোয়ারা স্পিনিং মিলস (৪৭৪ কোটি টাকা)।
শীর্ষ ৩০০ ঋণ খেলাপীর কাছে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা আছে ৫০ হাজার ৯৪২ কোটি টাকা। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫ কোটি টাকার বেশি ঋণ নেয়া ১৪ হাজার ৬১৭ জনের বড় একটি অংশ ঋণ খেলাপী, যাদের খেলাপী ঋণের পরিমাণ এক লাখ ১৮৩ কোটি টাকা।
সংসদ সদস্য লুৎফুন নেনা খানের প্রশ্নের লিখিত জবাবে দেয়া মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, গত ৩৯ মাসে খেলাপী ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ৪৩ হাজার ২১০ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এ সময়ে ঋণ খেলাপীর সংখ্যা বেড়েছে ৬৮ হাজার ৪৩৬ জন। অর্থমন্ত্রী জানান, ডাটা ওয্যারহাউজ না থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি ডাটাবেজে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরের পূর্বের তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় ২০০৯ সালের ঋণের তথ্য দেয়া সম্ভব হয়নি।
এ প্রশ্নের জবাবে জানানো হয়, সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে ঋণ খেলাপীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ১১ হাজার ৯৫৪ জন এবং তাদের কাছে ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। আর ডিসেম্বর ২০১৮ সালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ খেলাপীর সংখ্যা এক লাখ ৭০ হাজার ৩৯০ এবং অর্থের পরিমাণ এক লাখ ২ হাজার ৩১৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
সরকারী দলের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের এক প্রশ্নের লিখিত অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মে, ২০১৯ পর্যন্ত দাতাদেশ/ সংস্থানসমূহের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সর্বমোট ৫ হাজার ২১৩ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়া গেছে। ঋণ বাবদ ৪ হাজার ৯৭৪ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অনুদান বাবদ ২৩৮ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়া গেছে।

 

আরও পড়ুন

সর্বশেষ