বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
প্রচ্ছদটপসোনাগাজীর সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন নামঞ্জুর

সোনাগাজীর সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন নামঞ্জুর

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মাদ আস সামছ জগলুল হোসেন ১৭ জুন দুপুরে মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিন আবেদন নাকচ করে এ আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামী ৩০ জুন মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন র্ধায করা হয়েছে।

আসামি মোয়াজ্জেম হোসেনের জামিনের আবেদনে তার আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ বলেন, তিনি আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য হাইকোর্টে গিয়েছিলেন তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া তার ফেসবুক আইডি থেকে কোনো কিছু প্রচার হয়নি। টেলিভিশন রিপোর্টার মো. আতিয়ার হাওলাদার সজলের ভিডিও ফেসবুক থেকে প্রচার করা হয়েছে। অথচ তাকে এ মামলায় আসামি করা হয়নি।

মামলার বাদী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও রাস্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম আসামির জামিনের আপত্তিতে বলেন, আমামি একজন আইনের লোক হয়ে তিনি ২০ দিন পলাতক ছিলেন। যেখানে তার নিজেরই গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করার কথা কিন্তু তা না করে তিনি পালিয়েছিলেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। মোয়াজ্জেমের আচরণে পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নাকচ করেন আদালত।তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

এর আগে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে রোববার (১৬ জুন) তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ওসি মোয়াজ্জেমকে ফেনীর সোনাগাজী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরে ফেনী সোনগাজী থানার এসআই আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম দুপুর সাড়ে ১২টায় আসামি মোয়াজ্জেম হোসেনকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানায় তাকে রাখা হয়। দুপুর ২টা ২০মিনিট আসামি মোয়াজ্জেমকে  কড়া পুলিশ পাহারায় সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এ সময় সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় হুড়োহুড়িতে কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন।

এদিকে আসামি মোয়াজ্জেম হোসেনকে হাতকড়া ছাড়া আদালতে হাজির করা হয়। এ নিয়ে আদালত অঙ্গনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। থানায় মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে ‘অসম্মানজনক’ কথা বলায় ও তার জবানবন্দির ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় গত ১৫ এপ্রিল সাইবার ট্রাইব্যুনালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৬, ২৯ ও ৩১ ধারায় করা অভিযোগটি পিটিশন মামলা হিসেবে গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ