শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
প্রচ্ছদটপইয়াবা কারবারি পিতা-পুত্রের বিলাসবহুল বাড়িসহ ৪০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ

ইয়াবা কারবারি পিতা-পুত্রের বিলাসবহুল বাড়িসহ ৪০ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ

আদালতের নির্দেশে কক্সবাজারের তিন ‘ইয়াবা কারবারি’ পিতা-পুত্রের বিলাসবহুল বাড়িসহ অন্তত ৪০ কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ করেছে পুলিশ। এদের একজন সম্প্রতি কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

শনিবার সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়ায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

এরা হলেন টেকনাফ সদরের নাজির পাড়ার মৃত নজু মিয়ার ছেলে এজাহার মিয়া (৭০) এবং তার দুই ছেলে নুরুল হক ভূট্টো (৩২) ও নুর মোহাম্মদ ওরফে মংগ্রী (৩৫)।

পুলিশ জানিয়েছে, এদের মধ্যে নুরুল হক ভূট্টোর নাম সরকারের তৈরি সর্বশেষ ইয়াবার শীর্ষ ব্যবসায়ীদের তালিকায় রয়েছে। এছাড়া নুর মোহাম্মদ ওরফে মংগ্রী দুই মাস আগে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

জব্দ করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে বিলাসবহুল দুইটি বাড়ি, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী এবং ভিটে ও জমি-জমাসহ বিভিন্ন সম্পদ। এর মধ্যে ২৫ কোটি টাকার স্থাবর এবং ১৫ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।

ওসি প্রদীপ বলেন, তিন ইয়াবা কারবারি পিতা-পুত্রের বাড়িসহ সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দের জন্য আদালতের একটি নির্দেশনা বৃহস্পতিবার টেকনাফ থানায় পৌঁছে। আদালতের নির্দেশনা পেয়ে পুলিশের একটি দল শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত টেকনাফের নাজির পাড়ায় অভিযান চালায়।

তিনি বলেন, এ সময় বাড়িগুলোতে অবস্থানকারী লোকজনকে বের করে দিয়ে পুলিশের জিন্মায় নিয়ে আসা হয়। পরে বাড়িগুলোতে থাকা স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র ও অন্যান্য সামগ্রী এবং ভিটে ও জমি-জমাসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ করা হয়। জব্দ করা সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মূল্য আনুমানিক অন্তত ৪০ কোটি টাকা।

ওসি বলেন, জব্দ করা বাড়িগুলো সিলগালা করে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে। এছাড়া বাড়ির আসবাবপত্র ও অন্যান্য সামগ্রীসহ জব্দ অস্থাবর সম্পদগুলো থানায় নিয়ে আসা হয়।

মামলার বরাত দিয়ে প্রদীপ বলেন, ২০১৭ সালের ২৯ অগাস্ট টেকনাফ থানায় দায়ের হওয়া একটি মাদক মামলায় ১ নম্বর আসামি নুরুল হক ভূট্টো, ২ নম্বর আসামি নুর মোহাম্মদ ওরফে মংগ্রী এবং ১০ নম্বর আসামি এজাহার মিয়া পলাতক রয়েছেন। এছাড়া গত ২০১০ সালে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একটি মানিলন্ডারিং মামলাও রয়েছে।
প্রদীপ বলেন, এসব মামলায় গত ১৪ মে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক খোন্দকার হাসান মো. ফিরোজ এই তিন আসামির স্থাবর ও অস্থাবর সব সম্পদের তালিকা এবং আয়-ব্যায়ের হিসাব আদালতে উপস্থাপনের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে তাদের সম্পদের বিবরণী আদালতে উপস্থাপনের পর গত ২৩ মে একই বিচারক তা জব্দ করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন।

অভিযানে জব্দ করা এই তিন ইয়াবা কারবারির সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বার্ষিক হালনাগাদ হিসাব পুলিশ আদালতে উপস্থাপন করবে বলে জানান ওসি প্রদীপ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ