শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়মিয়ানমারের চরম উসকানি মধ্যেও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা বাড়তে দেয়নি : প্রধানমন্ত্রী

মিয়ানমারের চরম উসকানি মধ্যেও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা বাড়তে দেয়নি : প্রধানমন্ত্রী

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের চরম উসকানি ও সংকটের মধ্যেও বাংলাদেশ এই পরিস্থিতিতে নৈরাজ্য ও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা বাড়তে দেয়নি বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩০ মে স্থানীয় সময় সকালে জাপান সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টোকিও’র হোটেল ইমপেরিয়ালে আয়োজিত ২৫তম আন্তর্জাতিক নিকেই সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এ কথা বলেন। এশিয়ার ভবিষ্যৎ লক্ষ্য: একটি নতুন বৈশ্বিক শৃঙ্খলায় সচেষ্ট হওয়া, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা’ এমনই একটি প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে এবারের সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চরম সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও দায়িত্বশীল জাতি হিসেবে আমরা জোর করে বিতাড়িত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের আশ্রয় দিয়েছি। আমরাই শুধু মানবতা30-05-19-PM_25th International Conference-6র ডাকে সাড়াই দিইনি, আমরা এই সচেতনতার সঙ্গে সংকটটিকে নৈরাজ্য ও আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতায় বাড়তে দিইনি।

রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের অবস্থান ও পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চরম উসকানি ও সংকেটের মধ্যেও আমরা সংলাপ এবং ঐকমত্য চেয়েছি। আমাদের অঞ্চলসহ বিশ্বের অন্যান্য সংকটময় পরিস্থতিতে বিশ্ব শান্তি, মানবতা ও উন্নয়নের জন্য সংঘাত এড়ানো এবং ঐকমত্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে এটি শিক্ষণীয়।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, নতুন প্রজন্মের জন্য স্থিতিশীল ও টেকসই বিশ্ব নিশ্চিতে বাংলাদেশ বিশ্ব সম্প্রদায়ের সদস্য হিসেবে তার সব বন্ধু ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে যাবে। বিশ্ব শান্তি ও সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানব সভ্যতা যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের থাবায় জর্জরিত হয়েছে। তারপরও পৃথিবী সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কেননা, মানবতা ও ইতিবাচক শক্তি সফল হতে বাধ্য। উদীয়মান এশিয়ার অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব সম্প্রদায় আমাদের দিকে তাকাচ্ছে। উদীয়মান এশিয়া বিশ্বকে শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবে, নতুন করে গড়ে তুলবে। ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ঐকমত্য, শান্তি ও বন্ধুত্ব সব নৈরাজ্য ধ্বংস এবং মতভেদ দূর করে দিতে পারে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ