চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পাঁনগাও টার্মিনালের ব্যবস্থাপক গোলাম মো. সারওয়ারুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপর টার্মিনালটির দায়িত্ব দেওয়া হয় কমলাপুর আইসিডি’র ডেপুটি ট্রাফিক ম্যানেজার আহমেদুল করিম চৌধুরীকে। সাময়িক বরখাস্তের আদেশে বলা হয়, সংস্থার নিয়ম ভঙ্গ করে পত্রিকায় প্রতিবাদলিপি প্রকাশ করা এবং অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিষ্ঠিত নিয়মগুলোর ব্যত্যয় ঘটানোর বিষয়ে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ায় বন্দর কর্মচারী প্রবিধানমালার ১৯৯১ এর বিধানমতে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
বন্দরের একজন কর্মকর্তা জানান, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এ কর্মকর্তাকে এখন বন্দরের পরিচালকের (পরিবহন) কার্যালয়ে নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে। তবে প্রচলিত বিধি মোতাবেক তিনি আংশিক ভাতা পাবেন।
বন্দর সূত্র জানায়, গত বছরের শেষে বন্দরের টার্মিনাল ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করার সময় গোলাম মো. সারওয়ারুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। নির্দিষ্ট সময়ের পরে কনটেইনার জাহাজে তোলা বা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কনটেইনার খালাসে স্পেশাল পারমিশনের নামে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর বন্দর কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো প্রতিবাদ পাঠানো না হলেও গোলাম সারওয়ারুল ইসলাম বিপুল টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন দিয়ে এসব অভিযোগের জবাব দেন, যা বন্দরের প্রবিধানমালার লঙ্ঘন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সার্ভার হ্যাক করে যেসব কনটেইনার খালাস হয়েছে সেগুলোর মধ্যে ২২২টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাসের জন্য স্পেশাল পারমিশন দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর ব্যাখ্যা চায় বন্দরের কাছে। বন্দর সূত্র জানায়, অভিযোগ ওঠার পর প্রথমে তাকে বন্দরের টার্মিনাল ব্যবস্থাপকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে পানগাঁও টার্মিনালে বদলি করা হয়।
