বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়ঢাকায় বসে উজানচরের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে না : পরিকল্পনামন্ত্রী

ঢাকায় বসে উজানচরের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে না : পরিকল্পনামন্ত্রী

ঢাকায় বসে উজানচরের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে না। উজানচরের প্রকল্প উজানচরে বসে বাস্তবায়ন করতে হবে। ঢাকায় বসে অনেক চরাঞ্চলের গাড়ি চলাচল করতে দেখি। অথচ গাড়িটি ঢাকার জন্য নয়, চরাঞ্চলের প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কেনা। ১২ মে শেরেবাংলা নগরে নিজ দফতরে ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্স প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান একথা বলেন। মতবিনিময় সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল চরের উন্নয়নে একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গঠন।

মন্ত্রী বলেন, চরাঞ্চলের গাড়ি শুধু চর এলাকায় থাকবে। এটা ঢাকায় থাকার কথা নয়। বর্তমান সরকার চরের উন্নয়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্প পরিচালকদের উচিত হবে চরে থেকেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে। চরের মানুষ দরিদ্র থেকে আরো দরিদ্র। সুতরাং, চর এলাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে আরো মানবিক হতে হবে। চর এলাকায় নিরাপদ, স্যানিটেশন, বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা জরুরি।

চরে জমির মালিকানার বিষয়ে একটা জটিলতা তৈরি হয়। নদী এলাকায় হঠাৎ চর জেগে ওঠে তখন মালিকানা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। চর এলাকায় ছোট ছোট প্রকল্প পিকেএসএফ-এর মাধ্যমে বাস্তবায়নে মত দেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

ওয়াটার এইড-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম, ন্যাশনাল চর অ্যালায়েন্সের সদস্য সচিব জাহিদ রহমান, কেয়ার বাংলাদেশের সমন্বয়ক আসিফ ইমরান খান, কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের চর প্রোগ্রাম প্রধান সাঈদ মাহমুদ রিয়াদ, ক্রিশ্চিয়ান এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর সাকিব নবী, অক্সফার্ম বাংলাদেশের অ্যাডভোকেসি সমন্বয়ক সাইফুল আলম প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, চরের মানুষের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জাতীয় পর্যায়ে একটি চর ফাউন্ডেশন অথবা বোর্ড গঠন করা যায়। যা চরের মানুষের উন্নয়ন ও চরের দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশেষ কর্তৃপক্ষ হিসেবে কাজ করবে। এ রকম একটি কর্তৃপক্ষ না থাকায় প্রতিবছর চরের উন্নয়নের জন্য জাতীয় বাজেট যে বরাদ্দ থাকে তা ব্যয় হয় না। বহু নদ-নদী বেষ্টিত বাংলাদেশের একটা বড় অংশ চরভূমি। এসব চরে প্রায় এক কোটি মানুষ বসবাস করেন। বাংলাদেশে মোট ভূমির প্রায় ১০ শতাংশ চরভূমি। দেশের প্রায় ৩২টা জেলার শতাধিক উপজেলার অংশবিশেষ জুড়ে বিস্তৃত এই চরাঞ্চল।’

আরও পড়ুন

সর্বশেষ