বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়ভেজাল ৫২ পণ্য ১০ দিনের মধ্যে বাজার থেকে তুলে নেয়ার নির্দেশ

ভেজাল ৫২ পণ্য ১০ দিনের মধ্যে বাজার থেকে তুলে নেয়ার নির্দেশ

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২টি মানহীন ও ভেজাল পণ্য আগামী ১০দিনের মধ্যে বাজার থেকে তুলে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে এসব পণ্যের উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২টি মানহীন ও ভেজাল পণ্য নিয়ে শুনানিতে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালত এসব ভেজাল পণ্য অপসারণের পাশাপাশি সেগুলো ধ্বংস করার নির্দেশও দেন। আদালত বলেছেন, এগুলো ধ্বংস করে ফেলতে হবে যেন তৃতীয় কারও হাতে না যায়।

৫২টি পণ্য হলো- প্রাণের হলুদ গুড়া, ফ্রেশের হলুদ গুড়া, মোল্লা সল্টের আয়োডিন যুক্ত লবন, প্রাণের কারি পাউডার, ড্যানিশের কারী পাউডার, সিটি ওয়েলের সরিষার তেল, গ্রীণ ব্লিচিংয়ের সরিষার তেল, শমনমের সরিষার তেল, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েলের সরিষার তেল, কাশেম ফুডের চিপস, আরা ফুডের ড্রিংকিং ওয়াটার, আল সাফির ড্রিংকিং ওয়াটার, মিজানের ড্রিংকিং ওয়াটার, মর্ণ ডিউয়ের ড্রিংকিং ওয়াটার, প্রাণের লাচ্ছা সেমাই, ডুডলি নুডলস, শান্ত ফুডের সফট ড্রিংক পাউডার, জাহাঙ্গীর ফুড সফট ড্রিংক পাউডার, ড্যানিশের হলুদের গুড়া, এসিআইর ধনিয়ার গুড়া, বনলতার ঘি, পিওর হাটহাজারী মরিচ গুড়া, মিস্টিমেলার লাচ্ছা সেমাই, মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, মিঠাইয়ের লাচ্ছা সেমাই, ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই, এসিআইর আয়োডিন যুক্ত লবন, কিং’য়ের ময়দা, রুপসার দই, মক্কার চানাচুর, মেহেদীর বিস্কুট, বাঘাবাড়ীর স্পেশাল ঘি, নিশিতা ফুডস এর সুজি, মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, মঞ্জিলের হলুদ গুড়া, মধুমতির আয়োডিন যুক্ত লবন, সান ফুডের হলুদ গুড়া, গ্রীন লেনের মধু, কিরনের লাচ্ছা সেমাই, ডলফিনের মরিচের গুড়া, ডলফিনের হলুদের গুড়া, সূর্যের মরিচের গুড়া, জেদ্দার লাচ্ছা সেমাই, অমৃতের লাচ্ছা সেমাই, দাদা সুপারের আয়োডিন যুক্ত লবন, মদীনার আয়োডিন যু্ক্ত লবন ও নুরের আয়োডিন যুক্ত লবনডানকানের ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার, আরার ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার, দিঘীর ড্রিংকিং ওয়াটার।

এর আগে রোববার সকালে এসব মানহীন পণ্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দুই কর্মকর্তা হাইকোর্টে আসেন। দুই কর্মকর্তা হলেন- বিএসটিআইয়ের পরিচালক প্রকৌশলী এস এম ইসহাক আলী ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালক ড. সহদেব চন্দ্র সাহা।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান নিজেই। বিএসটিআইয়ের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সরকার এম আর হাসান আর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম। বিএসটিআইর পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২টি পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নিতে রিটটি করেন কনসাস কনজুমার সোসাইটির পক্ষে ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান।

পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ মে বিএসটিআই এর পরীক্ষায় প্রমাণিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২টি ভেজাল ও নিম্নমাণের পণ্য জব্দ এবং এসব পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার ও উৎপাদন বন্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বিএসটিআই ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য অধিদফতরের দুই কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ