শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদটপসুবীর নন্দীর মরদেহ আসবে বুধবার, শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে

সুবীর নন্দীর মরদেহ আসবে বুধবার, শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে

না-ফেরার দেশে চলেই গেলেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী। সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। আগামীকাল বুধবার সকালে তাঁর মরদেহ ঢাকায় আনা হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে তাঁর মরদেহ। বেলা ১১টায় শ্রদ্ধা জানাতে পারবে সর্বস্তরের মানুষ। জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক সামন্তলাল সেন জানিয়েছেন, আগামীকাল সকাল ৬টা ১০ মিনিটে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজে সুবীর নন্দীর মরদেহ ঢাকায় এসে পৌঁছাবে। বিমানবন্দর থেকে মরদেহ আনা হবে তাঁর ঢাকার গ্রিনরোডের বাসায়। সেখান থেকে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য বেলা ১১টায় তাঁর মরদেহ নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এরপর সুবীর নন্দীর মরদেহ নেওয়া হবে রামকৃষ্ণ মিশনে। সবুজবাগে বরদেশ্বরী কালীমন্দির ও শ্মশানে দুপুরে সুবীর নন্দীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।

একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় আজ ভোর সাড়ে ৪টায় মারা যান। এর আগে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও একবার ‘হার্ট অ্যাটাক’ হয়েছিল তাঁর। ১৮ দিন ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয় সুবীর নন্দীকে।

বাংলাদেশে সুবীর নন্দীর চিকিৎসার বিষয়টি সমন্বয় করছিলেন অধ্যাপক সামন্তলাল সেন। তিনি বলেন, ‘বারবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তাঁর, সেইসঙ্গে সুবীর নন্দীর মাল্টিপল অর্গান ফেইলিউর হচ্ছিল।

সংগীতে অবদানের জন্য এ বছরই সুবীর নন্দীকে একুশে পদকে ভূষিত করে সরকার। বেতার, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রের প্লেব্যাকে তাঁর অসংখ্য জনপ্রিয় গান রয়েছে। চলচ্চিত্রে প্লেব্যাকের জন্য চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন তিনি।

দেশের জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পীর ১৯৮১ সালে প্রথম একক অ্যালবাম ‘সুবীর নন্দীর গান’ প্রকাশ হয়। ১৯৭৬ সালে ‘সূর্যগ্রহণ’ চলচ্চিত্রে প্রথম প্লে-ব্যাক করেন তিনি। দীর্ঘ ৪০ বছরের সংগীত ক্যারিয়ারে আড়াই হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন তিনি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচবার। সংগীতে অবদানের জন্য এ বছর তিনি পান দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক।

সুবীর নন্দীর গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো ‘ও আমার উড়াল পঙ্খী রে’, ‘কেন ভালোবাসা হারিয়ে যায়’, ‘চাঁদে কলঙ্ক আছে যেমন’, ‘বধূ তোমার আমার এই যে পিরিতি’ ‘একটা ছিল সোনার কন্যা’, ‘কত যে তোমাকে বেসেছি ভালো’, ‘আমি বৃষ্টির কাছ থেকে’, ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘আশা ছিল মনে মনে’ ইত্যাদি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ