বুধবার, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়পালিত হচ্ছে মে দিবস

পালিত হচ্ছে মে দিবস

৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করেও, শোভন জীবন যাপনের জন্য পর্যাপ্ত মজুরি পাননা দেশের বেশিরভাগ শিল্প শ্রমিক। নেই উৎসব ভাতা, পেশাগত পরিচয়পত্র। ইউনিয়ন করা তো দূরের কথা, সংগঠিত হবার চেষ্টা করলেই, ছাটাই করা হয় শ্রমিকদের। আছে শিশু শ্রমও। এমন বাস্তবতা স্বীকার করেই, শ্রমিক অধিকার নিশ্চিত করতে মে দিবস পালন করছে সরকার।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে ৬ কোটি ৩৫ লাখের মধ্যে ৫ কোটি ৬৫ লাখ শ্রমিকই কাজ করছেন অনানুষ্ঠানিক খাতে। যাদের সবাই ন্যূনতম অধিকার বঞ্চিত।

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, শ্রম আইন অনুযায়ী কেউ যেন শ্রমিকদের দিয়ে আট ঘন্টার বেশি কাজ করাতে না পারে। আইএলও’র প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে শ্রম অধিকার বঞ্চিত অনানুষ্ঠানিক শ্রমিকের সংখ্যা ৮৯ শতাংশ।

১৮৮৬ সালের ১ মে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা শ্রমের উপযুক্ত মূল্য এবং দৈনিক অনধিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। এতে অনেক শ্রমিক হতাহত হন। তাদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে দৈনিক কাজের সময় আট ঘণ্টা করার দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর থেকে দিনটি ‘মে দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

আজ সরকারি ছুটির দিন। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠন দিনটি পালন করতে শোভাযাত্রা, সমাবেশ, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি নিয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে শ্রমিক ও মালিকদের কলকারখানার উৎপাদন বৃদ্ধিতে নিবেদিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ