শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়বিজিএমইএ ভবনটি সিলগালা করে দিয়েছে রাজউক

বিজিএমইএ ভবনটি সিলগালা করে দিয়েছে রাজউক

রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে বিজিএমইএ ভবনটি ভেঙে ফেলার জন্য নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ভবনটি সিলগালা করে দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এর আগে এই ভবন থেকে মালামাল সরিয়ে নিতে দুই দফা সময় বাড়ায় কর্তৃপক্ষ। হাতিরঝিল প্রকল্পের পরিচালক জানিয়েছেন, ভবনটি কিভাবে কোন প্রক্রিয়ায় ভাঙা হবে তা ঠিক করতে সেনাবাহিনী এবং চীনা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে। প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁর পেছন থেকে বেগুনবাড়ির দিকে পানির যে প্রবাহ তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বহুল আলোচিত সমালোচিত ১৬ তলা বিজিএমইএ ভবনের কারণে। ভবনটি সরাতে আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজউক।

রায়ে উচ্চ আদালত বলেন, হাতিরঝিল উন্নয়ন প্রকল্পের ক্যান্সার এই বিজিএমইএ ভবন, যা উচ্ছেদ করা ছাড়া সরানো যাবে না। আদালতের এমন আদেশের পর কেটে গেছে দুই বছর। সর্বশেষ নিজ উদ্যোগে ভবনটি ভেঙে ফেলতে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। সেটিও যখন বাস্তবায়ন হয়নি তখন মঙ্গলবার সকাল থেকে ভবনটির সামনে অবস্থান নেয় রাজউক। ভবন ব্যবহারকারীদের নিজেদের আসবাবপত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য কয়েক দফা সময় দেওয়া হয়।

হাতিরঝিল বেগুনবাড়ি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক রায়হানুল ফেরদৌস বলেন, আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেলেছি। ওখানকার অফিসের লোকজন তাদের জিনিসপত্র নিয়ে গেছেন। রাজউকের পরিচালক খন্দকার অলিউর রহমান জানান, ভবনটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিভাবে কোন প্রক্রিয়ায় ভাঙা হবে তা সেনাবাহিনী এবং চীনা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে ঠিক করা হবে। এই অবৈধ ভবন থেকে স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য বাজার মূল্যের অর্ধেক দামে উত্তরায় বিজিএমইএকে জমি বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক শিল্প মালিকদের সংগঠনের বিজিএমইএ কমপ্লেক্স। ১৯৯৮ সালে ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় আর ১৬ তলা এই ভবনটি উদ্বোধন হয়েছিল ২০০৬ সালে।
এক সময়কার বেগুনবাড়ি খাল- বর্তমানে হাতিরঝিলে, জমির স্বত্ব না থাকা এবং জলাধার আইন লঙ্ঘন করে নির্মাণ করায় ২০১১ সালে বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে করা বিজিএমইএর আপিলও খারিজ হয় ২০১৬ সালের ২ জুন। রায়ে বিজিএমইএকে নিজ খরচে ৯০ দিনের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ বহাল রাখা হয়। বিজিএমইএর করা সেই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনও খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। এরপর ভবন ভাঙতে সময় চেয়ে আবেদন করলে কয়েক দফা সেই সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত বছর- আর সময় চাওয়া হবে না, এমন মুচলেকার বিনিময়ে বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে শেষবারের মতো এক বছর সময় দেয় আপিল বিভাগ। সে হিসেবে গত ১২ এপ্রিল পর্যন্ত এই সময় পেয়েছিল বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ