শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের ৫৭ লাখ টাকা নিয়ে উধাও গাড়িচালক

চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের ৫৭ লাখ টাকা নিয়ে উধাও গাড়িচালক

চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের পোশাক কারখানার ৫৭ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছেন তাঁরই কারখানার গাড়ির চালক। গাড়িচালকের নাম শহিদ বিশ্বাস। রোববার ঢাকার সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ওই এলাকায় চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের মালিকানাধীন এ জে আই গ্রুপের কারখানা রয়েছে।

ঘটনাটি নিজের ফেসবুক পেজে জানিয়েছেন অনন্ত জলিল। গাড়িচালক শহিদ বিশ্বাসের ছবিও দিয়েছেন তিনি। শহিদকে ধরিয়ে দিতে ভক্তদের সহযোগিতা চেয়েছেন অনন্ত জলিল। কেউ ধরিয়ে দিতে পারলে তাঁকে নিজ হাতে পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

নিজের ফেসবুক পেজে অনন্ত জলিল লেখেন, ‘আমার ভক্তদের কাছে আমি আজকে একটি সাহায্য চাচ্ছি। আপনারা সবাই জানেন ১৯৯৬ সাল থেকে সাভারের হেমায়েতপুরে অবস্থিত এ জে আই গ্রুপ সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হয়ে আসছে। আজ (গতকাল) আমার ফ্যাক্টরির এক ড্রাইভার মো. শহীদ মিয়া/শহীদ বিশ্বাস ৫৩ লক্ষ টাকা ফ্যাক্টরির গ্যাস বিল না দিয়ে টাকাগুলো নিয়ে পালিয়ে গেছে। সর্বমোট ৫৭ লক্ষ টাকা।

ফ্যাক্টরির একজন অ্যাকাউন্টেন্ট মো. জহিরুল ইসলাম তার সঙ্গে ছিল। জহির সোনালী ব্যাংকে ভ্যাট দিতে ঢুকে ছিল এবং গাড়িতে টাকাগুলোসহ ড্রাইভারকে সাবধানে দেখাশোনার জন্য বলে গিয়েছিল। জহিরুল ইসলাম (জহির) সোনালী ব্যাংকে যাওয়ার পর সে সুযোগ বুঝে টাকাগুলো নিয়ে গাড়ি রেখে পালিয়ে যায়। আমি তার যাবতীয় ইনফরমেশন শেয়ার করলাম। অলরেডি থানায় মামলা করা হয়েছে।

যে এই প্রতারককে ধরিয়ে দিতে পারবে তাকে আমি অনন্ত জলিল নিজ হাতে পুরস্কৃত করব ইনশা আল্লাহ। অনুগ্রহপূর্বক শুধু সংবাদদাতাই যোগাযোগ করবেন। এরপর এ জে আই গ্রুপের প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান জাহিদুল হাসান মীরের ০১৭১১৭৩৯৫৪১ ও উপমহাব্যবস্থাপক আসাদের ০১৬৭৬৫৫৯৭৫৬ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। Driver of A Jalilগাড়িচালক শহিদের ছবিও নিজ ফেসবুক পেজে দিয়েছেন অনন্ত জলিল। ফটোশপ করে সম্ভাব্য ছয়টি ছবি দেওয়া হয়েছে।

সেখানে অনন্ত জলিল লেখেন, ‘ধুরন্ধর এই প্রতারক‌‌‌ তার গেটআপ পরিবর্তন করতে পারে। আপনাদের সুবিধার জন্য ফটোশপে এডিট করে তার সম্ভাব্য কিছু গেটআপের ছবি দিলাম। যে এই প্রতারককে ধরিয়ে দিতে পারবে তাকে আমি অনন্ত জলিল নিজ হাতে পুরস্কৃত করব ইনশা আল্লাহ। অনুগ্রহপূর্বক শুধু সংবাদাতাই যোগাযোগ করবেন।

প্রশাসন ও মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান জাহিদুল হাসান মীর বলেন, গতকাল সকালে এ জে আই গ্রুপের হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও গাড়িচালক শহিদ বিশ্বাস রাজধানীর আদাবর এলাকায় কারখানার এক পরিচালকের বাসা থেকে ৫৭ লাখ টাকা নিয়ে প্রাইভেটকারে করে সাভারের হেমায়েতপুরে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক হেমায়েতপুর শাখায় গ্যাসের বিল দেওয়ার জন্য রওনা দেন। পরে ওই দুজন হেমায়েতপুর শাখায় টাকা জমা না দিয়ে সাভারের থানা রোড এলাকায় সোনালী ব্যাংকে যান। এ সময় হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা গাড়িতে ৫৭ লাখ টাকা রেখেই সোনালী ব্যাংকে উঠেন। পরে কৌশলে গাড়িচালক শহিদ বিশ্বাস প্রাইভেটকার ও চাবি রেখেই ৫৭ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। পরে হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা বিষয়টি কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানালে কারখানা কর্তৃপক্ষ সাভার মডেল থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হিসাবরক্ষক জহিরুল ইসলামকে আটক করে।

বর্তমানে আটক ওই কর্মকর্তা থানায় রয়েছেন। এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ হিসাবরক্ষক জহিরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করে গাড়িচালককে দ্বিতীয় আসামি করে মামলা করেছে। এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ বলেন, টাকা উদ্ধার ও গাড়িচালককে আটক করার প্রক্রিয়া চলছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ