হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অস্ত্র নিয়ে প্রবেশের অভিযোগে আটক আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবুর রহমানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মইনুল ইসলাম আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মুজিবুর সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক।
এদিন বিমানবন্দর থানা পুলিশ আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। অপরদিকে আসামিপক্ষে জামিন আবেদন করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর ওই আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, কোনো অপরাধ সংঘটনের চেষ্টায় লিপ্ত বা জড়িত সন্দেহে আসামিকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি। আসামি সংরক্ষিত এলাকায় বিনা ঘোষণায় অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করেছেন। তদন্তের স্বার্থে আসামিকে কারাগারে আটক রাখা হোক।
আদালত সূত্র জানায়, মুজিবুর রহমান যশোরের যাত্রী ছিলেন। তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় অভ্যন্তরীণ টার্মিনালে আসেন। নিরাপত্তা তল্লাশিতে তার সঙ্গে থাকা পিস্তল ও ৩৫টি গুলি থাকার বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর তাকে আটক করা হয়। বৈধ অস্ত্র নিয়ে আকাশপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আগাম ঘোষণা দিতে হয়, মুজিবুর সেটা করেননি।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি খেলনা পিস্তল নিয়ে পলাশ নামে এক যাত্রী বিমানে উঠে যাত্রীদের জিম্মি করে বিমান ছিনতাই চেষ্টার ঘটনার পর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সংশ্লিষ্টরা।
এ ঘটনার পরপরই চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের বৈধ পিস্তল স্ক্যানার মেশিনে ধরা না পড়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। তবে গত ১১ মার্চ স্ক্যানার মেশিনে ধরা পড়ার পর ঘোষণা ছাড়াই অস্ত্র নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশের অভিযোগে যশোরের চৌগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফুলসর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাসুদ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জেলহাজতে পাঠানো হলে পরে জামিনে ছাড়া পান।
এরপর গত ১৬ মার্চ একই বিমানবন্দরে ঘোষণা ছাড়াই শটগান নিয়ে প্রবেশের অভিযোগে প্রবাসী পল্লী গ্রুপের চেয়ারম্যানের দেহরক্ষী নুরুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরবতীকালে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।