বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়দ্বিতীয় দিনের মতো রাস্তায় নেমেছেন শিক্ষার্থীরা

দ্বিতীয় দিনের মতো রাস্তায় নেমেছেন শিক্ষার্থীরা

সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরী নিহতের জের ধরে বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো রাস্তায় নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর প্রগতি সরণি এলাকায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেট ও যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে শিক্ষার্থীরা রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করছেন বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এ কারণে এই পথ দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

সেখানে রয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। তাঁরা শিক্ষার্থীদের সড়ক ছেড়ে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং আশ্বাস দিয়েছেন, তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া হবে। মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, এ এলাকায় আবরার আহমেদের নামে একটি ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হবে। আগামী দুমাসের মধ্যে সেটি চালু করা হবে। এ ঘটনায় দায়ী বাসচালক ও তার সহকারীর বিচারের আশ্বাস দেন তিনি।

অন্যদিকে ডিএমপির কমিশনার বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনসহ সবাই কাজ করছে। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাঁদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। এদিকে, রাজধানীর ব্যস্ততম ফার্মগেট এলাকায়ও সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর ফলে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।

রাজধানীর মিরপুর রোডের একটি অংশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। সকাল কিছু শিক্ষার্থী অবস্থান নেন রায়সাহেব বাজার এলাকায়। এসব এলাকায় যানবাহনের ব্যাপক জট দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরা নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রেখেছেন। কারো কারো হাতে জাতীয় পতাকাও রয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে প্রগতি সরণি এলাকায় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় নিহত হন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল (বিইউপি) শিক্ষার্থী আবরার। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার বসুন্ধরা এলাকার বাসিন্দা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আরিফ আহমেদ চৌধুরীর ছেলে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনায় দায়ী বাসচালকের সর্বোচ্চ শাস্তির পাশাপাশি মঙ্গলবার আট দফা দাবি জানিয়েছেন।

তাঁদের দাবির মধ্যে রয়েছে, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজ নিয়মিতভাবে পরীক্ষা, পরিবহন খাতকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা, ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় পদচারী সেতু ও স্পিডব্রেকার নির্মাণ এবং অনুপযোগী যানবাহন চলাচল বন্ধ করা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়া শিক্ষার্থীরা বুধবার সকালেও ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘জাস্টিস ফর আবরার’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না’ এ রকম নানা স্লোগানে নিরাপদ সড়কের দাবি জানাচ্ছেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ