মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৪
প্রচ্ছদআরো খবর......দেশে কিডনি রোগী দুই কোটি

দেশে কিডনি রোগী দুই কোটি

অসংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে কিডনি রোগ অন্যতম। প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে এ রোগের প্রকোপ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী পৃথিবীতে অসংক্রামক রোগের যে মৃত্যুহার, তার মধ্যে কিডনি রোগের অবস্থান ১১তম। বাংলাদেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা প্রায় দুই কোটি। বছরে এ রোগে মারা যায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ। কিন্তু এ রোগীর তুলনায় বিশেষজ্ঞের সংখ্যা এতই নগণ্য যে, দিনে ৭০০ জন করে রোগী দেখলেও শেষ করতে ৬ মাস পেরিয়ে যাবে।

এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব কিডনি দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থ কিডনি সবার জন্য সর্বত্র।’ দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন, ক্যাম্পাস এবং কিডনি ফাউন্ডেশন র‌্যালি, স্ক্রিনিং, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এদিকে দিবসটি উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও কিডনি রোগ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহবান জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. রফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশে কিডনি রোগী প্রায় দুই কোটি। অথচ বিশেষজ্ঞ মাত্র ১৭০ জন। অর্থাৎ সবাই মিলে একসঙ্গে রোগী দেখা শুরু করলে এবং প্রতিদিন গড়ে ৭০০ জন রোগী দেখলেও ছয় মাস লেগে যাবে শেষ করতে। তিনি বলেন, গড়ে প্রতি বছর বাংলাদেশে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার রোগী এ রোগে মৃত্যুবরণ করেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একটু সচেতন হলে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন প্রাথমিক অবস্থায় কিডনি রোগের উপস্থিতি ও এর কারণ শনাক্ত করে তার চিকিৎসা করা। সুস্থ জীবনধারা চর্চা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান না করা, পরিমিত সুষম খাবার, কাঁচা লবণ পরিহার করার মাধ্যমে কিডনি রোগ থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।

এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ডা. মো. ফিরোজ খান বলেন, আকস্মিক কিডনি বিকল ও দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের কারণে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, এইডস, ম্যালেরিয়া, টিবি, হেপাটাইটিস ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি বহুগুণে বেড়ে যায়। এ কারণে কিডনি রোগকে বলা হয় ডিজিজ মাল্টিপায়ার। বয়স্কদের দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ বর্তমান সময়ে অত্যন্ত আলোচিত একটি বিষয়। এছাড়া কিডনির পাথর ও প্রস্রাবের রাস্তায় বাধা বা প্রস্রাবের ধীরগতি প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে ও সঠিক চিকিৎসা দিতে পারলে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ