দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বৃহস্পতিবার শপথ নিচ্ছেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির হোসেন। তাদের শপথের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছে সংসদ সচিবালয়। সুলতান মোহাম্মদ মনসুর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে গণফোরামের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। আর মোকাব্বির হোসেন সিলেট-২ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমর্থন নিয়ে জয়ী হয়েছে।
এদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শপথের সিদ্ধান্ত নেয়া দলের দুই নেতার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া যায়, তা ঠিক করতে বৈঠক করেছেন গণফোরামের শীর্ষ নেতারা। মঙ্গলবার বিকালে দলটির সভাপতি ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি দলটির নেতারা।
সূত্র জানায়, দলের সিনিয়র নেতাদের একটি অংশ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ এবং মোকাব্বির খানের শপথ নেয়ার পক্ষে। আরেকটি অংশ শপথ নেয়ার বিপক্ষে। যারা শপথ নেয়ার পক্ষে তারা মনে করেন- ‘এটি রাজনৈতিকভাবে একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে’।
শপথ নেয়ার বিপক্ষের অংশটি মনে করেন, ‘শপথ নেয়ার অর্থ হচ্ছে- জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।’ এ অবস্থায় আজ সন্ধ্যায় আবারও বৈঠকে বসবেন গণফোরামের সিনিয়র নেতারা। এ বিষয়ে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু মঙ্গলবার বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তারা শপথ নিলে অবশ্যই আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। দলীয় সিদ্ধান্ত ও আইনগত সিদ্ধান্ত যা নেয়া দরকার, সেগুলো আমরা নেব।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরামে নাম লিখিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মৌলভীবাজার-২ আসনে ভোট করে জয়ী হন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। আর দীর্ঘদিন ধরে লন্ডন প্রবাসী মোকাব্বির খান গণফোরামের দলীয় প্রতীক ‘উদীয়মান সূর্য’ নিয়ে সিলেট-২ আসন থেকে জয়ী হন। ওই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী না থাকায় বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমর্থন পেয়েছিলেন তিনি। এই নির্বাচনে বাকি এর বাইরে মাত্র ছয়টি আসনে জয় পায় বিএনপি।