শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনহুমকি দিলে উচ্ছেদের গতি হবে দ্বিগুণ : ভূমিমন্ত্রী

হুমকি দিলে উচ্ছেদের গতি হবে দ্বিগুণ : ভূমিমন্ত্রী

javed kpuli 2কর্ণফুলীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় হুমকি দিয়ে কেউ পার পাবে না বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। তিনি বলেছেন, কেউ হুমকি দিলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের গতি দ্বিগুণ করা হবে। ৯ ফেব্রুয়ারি নগরের মাঝির ঘাট এলাকায় কর্ণফুলীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে ভূমিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, আগের বাংলাদেশ এখন নেই। এটা একুশ শতকের বাংলাদেশ। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ। এখানে আমাদের ইন্টেলিজেন্স ভেরি স্ট্রং। কেউ হুমকি দেবে, আমরা আমলে নেবো- এমন হবে না। ‘যার সাহস আছে সে হুমকি দেয়? কে হুমকি দিচ্ছে? কী হুমকি দিচ্ছে? হুমকি দিয়ে কেউ পার পাবে? কেউ পার পাবে না।

জাবেদ বলেন, অনেকে মনে করছেন, শুরুটা করলাম- তারপর মনে হয় উচ্ছেদ কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। নো, এটা হবে না। আমি থাকতে কাজ বন্ধ করতে দেবো না। কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হবে। কর্ণফুলী নদীকে ঘিরে যে পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি, সেটা বাস্তবায়ন করা হবে।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, অবৈধ কোনো স্থাপনা আমরা রাখবো না। তবে এখানে কিছু বিষয় আছে। অবৈধ স্থাপনার মধ্যে একটা কোল্ড স্টোরেজ আছে। এতে ব্যবসায়ীরা কয়েক হাজার টন মাছ স্টকে রাখেন। ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করে কোনো কাজ করলে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, শো অফ কিংবা পাবলিসিটির জন্য ধুমধাম করে উচ্ছেদ করে ফেললাম। এটার ‘কনসিকোয়েন্স’ কী- এটা ভাবলাম না, এ রকম হলে হবে না। কর্ণফুলী কিন্তু জাতীয় সম্পদ। এখানে প্রত্যেকটা কাজ আমাদের ‘ফাইন লাইন’ করে করতে হবে। কিন্তু কোনো স্থাপনা রাখা যাবে না। ইলিগ্যাল কোনো স্থাপনা থাকতে পারবে না। নির্দিষ্ট একটা সময় দিয়ে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, আমরা রূপকল্প-২০২১ কিংবা রূপকল্প-২০৪১ এর কথা বলছি। এর মানে কী? এসব বই-খা্তা কিংবা ফাইলের কোনো বিষয় না। রূপকল্প কাজের মধ্য দিয়ে, মাইন্ড ‘সেট আপের’ মধ্য দিয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। নদীগুলোকে দখলমুক্ত রাখাও কিন্তু এসব কাজের মধ্যে পড়ে। তিনি বলেন, এখানে আমরা দেশের জন্য কাজ করছি। জনগণের জন্য কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইছেন দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে, একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে। সবার সহযোগিতার মাধ্যমেই এটি সম্ভব।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, ভূমি উদ্ধারের পর আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে অনেকে জানতে চাইছেন। আমরা একটু সময় নিয়ে পরিকল্পনা করছি। কর্ণফুলীর তীরে দৃষ্টিনন্দন কিছু স্থাপনা করার ইচ্ছে আছে। এখানে আমরা কয়েকটা পন্টুন জেটি নির্মাণের চিন্তা ভাবনাও করছি। তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদীতে প্রচুর কার্গো অ্যাক্টিভিটিস আছে। পণ্য উঠা নামার বিষয় আছে। আমাদের আউটার অ্যাংকারে কার্গো নিয়ে প্রচুর মাদার ভেসেল আসে। এ কার্গোগুলো অনেক সময় সিরিয়ালের কারণে ‘গিট লকে’ পড়ে যায়। ফলে আমাদের প্রচুর ফরেন কারেন্সি নষ্ট হচ্ছে।

জাবেদ বলেন, একটা জাহাজে ২৫ হাজার ডলার পর্যন্ত ডেমারেজ দিতে হচ্ছে। এসব কিন্তু আমাদের রিজার্ব থেকে চলে যাচ্ছে। যেটা আননেসেসারি। এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। বছরে যদি কয়েক মিলিয়ন ডলারও আমরা সেইভ করতে পারি, এটা কিন্তু হিউজ।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, জেটি তো আমরা নিজেরা নির্মাণ করতে পারবো না, এটার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন তাদের সঙ্গে আলাপ করবো। পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ এর মাধ্যমেও এটা করা যায় কী না তা দেখা হবে।।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ