বুধবার, এপ্রিল ১৭, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনকর্ণফুলীর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে প্রশাসন

কর্ণফুলীর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে প্রশাসন

কর্ণফুলীর উত্তর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিচ্ছে প্রশাসন। ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে সদরঘাট থেকে অভিযান শুরু হয়। সরেজমিন দেখা গেছে, অভিযানের আগেই নদীর পাড়ের অবৈধ কাঁচা, সেমিপাকা, পাকা স্থাপনা সরিয়ে নেন। ক্রেন, গ্যাস কাটার, শ্রমিক দিয়ে নিজ নিজ স্থাপনা সরিয়ে নিচ্ছে অনেক প্রভাবশালী। উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিলুর রহমান।

তিনি বলেন, উচ্ছেদ অভিযানে র‌্যাব, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য অংশ নিচ্ছেন। অবৈধ স্থাপনা ভাঙার জন্য চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) বুলডোজার, স্ক্যাভেটর, পে-লোডার, ট্রাকসহ সরঞ্জাম দিয়েছে। ১০০ শ্রমিক উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ স্থাপনা ভাঙার কাজ করছেন।

তিনি বলেন, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর। তিনদিন সার্ভে করেছি। একসঙ্গে অভিযান চালাবো। প্রথমে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হবে। কোনো লোক আছে কিনা তল্লাশি করবো। এরপর ভাঙা হবে। দিনের আলো থাকা পর্যন্ত অভিযান চলবে।

তিনি জানান, হাই কোর্টের রায় অনুযায়ী অভিযান চালানো হচ্ছে। যত দিন সব স্থাপনা উচ্ছেদ না হবে ততদিন অভিযান চলবে। সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত ২০০ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। ১০ একর জমি উদ্ধার হবে। কে বড়, কে ছোট-সেটি বিবেচ্য নয়। সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। উচ্ছেদের পর জায়গাগুলো কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে রাখা হবে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেল, নগরীর জলাবদ্ধতা, পরিবেশ ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে কর্ণফুলীর দুই পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ইতোমধ্যে সীমানা পিলার স্থাপন, অবৈধ স্থাপনা লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা, মাইকিং করা হয়েছে।

তিনি জানান, অভিযানে সবচেয়ে বেশি সরঞ্জাম দিয়েছে চসিক। এতে বন্দর কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদফতর, পিডিবি, বিআইডব্লিউটিএ, ভূমি অফিসসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার প্রতিনিধি অভিযানে সহযোগিতা করছেন। সিএমপির অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) আবদুর রউফ জানান, নারী সদস্যসহ দেড় শতাধিক পুলিশ উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নিচ্ছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ