এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে চট্টগ্রামে ‘কেন্দ্র সচিবদের ভুলে’ ২০১৮ সালের সিলবাস অনুসারে প্রণীত প্রশ্নে ২০১৯ সালের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীন সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ভুলের তথ্য জানিয়েছেন বোর্ড কর্মকর্তারা। চট্টগ্রামে যে সাতটি কেন্দ্রে ভুল প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হল নগরীর ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মিউনিসিপ্যাল মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, গরীবে নেওয়াজ বিদ্যালয়, পতেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়, কক্সবাজারের পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উখিয়ার পালংখালী উচ্চ বিদ্যালয় এবং উখিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র। তবে কত জন পরীক্ষার্থী এই ভুলের শিকার হয়েছেন, তা জানাতে পারেনি শিক্ষা বোর্ড। সারাদেশে শনিবার একযোগে শুরু এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান বলেন, এবার বাংলা পরীক্ষা ২০১৬, ২০১৮ এবং ২০১৯ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র অনুসারে হওয়ার কথা। এর মধ্যে সাতটি কেন্দ্রে কেন্দ্র সচিবদের ভুলে ২০১৯ সালের সিলেবাসে যাদের পরীক্ষা দেওয়ার কথা, তাদের মাঝে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুসারে প্রণিত প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সাতটি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। তবে কত জন শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে এটা হয়েছে, তা জানা সম্ভব হয়নি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব। তবে এতে পরীক্ষার্থীরা যাতে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে ব্যবস্থা অবশ্যই করা হবে।
চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. মাহবুব হাসান জানান, ৭টি কেন্দ্রে ২০১৯ সালের সিলেবাসে যাদের পরীক্ষা দেওয়ার কথা, তাদের মধ্যে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুসারে প্রণিত প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছে। ট্রেজারি শাখা থেকে প্রশ্ন নেওয়ার সময় কেন্দ্র সচিবদের ভুলে এ ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় ওই ৭টি কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিবদের শোকজ করা হয়েছে। শোকজের জবাব পেলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে মো. মাহবুব হাসান বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানতুল্য। কোনো কারণে বা কারও ভুলে তাদের ক্ষতি হোক তা আমরা চাই না। ইতোমধ্যে ভুলের শিকার পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বরসহ তালিকা আমরা চেয়েছি। উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় এসব শিক্ষার্থীর যাতে কোনো সমস্যা না হয়, তারা যাতে ক্ষতির শিকার না হয়, তা বোর্ডের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হবে।
