শুক্রবার, মে ৩, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনপ্রভাবশালী বলতে কিছু বুঝি না, সরকারের চেয়ে প্রভাবশালী কেউ নেই: ভূমিমন্ত্রী

প্রভাবশালী বলতে কিছু বুঝি না, সরকারের চেয়ে প্রভাবশালী কেউ নেই: ভূমিমন্ত্রী

javed bridgeভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, আদালতের রায় আছে, সে অনুযায়ী কর্ণফুলী নদীকে দখলমুক্ত করা হবে। এখানে প্রভাবশালী বলতে কিছু বুঝি না। সরকারের চেয়ে বড় প্রভাবশালী কেউ নেই। ২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কর্ণফুলী নদীর দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পূর্ব পরিস্থিতি দেখতে এসে কর্ণফুলী ঘাটে ভূমিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে অনেকে ফোন করেছেন। অনেক অনুরোধ এসেছে। তিনি বলেন, অনেক সময় দেওয়া হয়েছে। কারো অনুরোধ শোনার আর সময় নেই। দলমত সবার উর্দ্ধে উঠে  আমাদেরকে কর্ণফুলীকে রক্ষা করতে হবে। কারণ কর্ণফুলী বাঁচলেই চট্টগ্রাম শহর বাঁচবে।  সোমবার থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। অভিযানের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দিয়েছে। সুতরাং কর্ণফুলীতে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের কোনো সুযোগ বা সম্ভাবনা নেই। সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আরএস মূলে সব অবৈধ স্থাপনা সরানো হবে। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য একাধিক জোন করা হয়েছে। প্রথম জোনে অভিযান চালিয়ে ২০০ স্থাপনা সরানো হবে। এতে ১০ একরের বেশি জায়গা দখলমুক্ত হবে। ধীরে ধীরে সব জোনে উচ্ছেদ অভিযান চলবে।

২০১৫ সালের পর থেকে স্থাপনা তৈরির কোনো অনুমোদন ছিল না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অনুমোদন না নিয়ে যেসব স্থাপন তৈরি করা হয়েছে, সেগুলো অবৈধ। তারপরেও যাদের স্থাপনা ছিল, তাদেরকে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে। এখনো কিছু প্রতিষ্ঠান আবেদন করছে। তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি, অভিযান চলবে। ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। সরকারি-বেসরকারি সব স্থাপনা সরানো হবে। কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রামের সম্পদ উল্লেখ করে জাবেদ বলেন, এ নদী বাঁচলে চট্টগ্রাম বাঁচবে। তাই কর্ণফুলীকে বাঁচাতে দল-মত নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘লবণের কিছু স্টোরেজ এখানে আছে। আমি তাদের নিশ্চিত করেছি যে-তাদের মূল গুদাম থাকবে। কিন্তু তারা তো আসতে আসতে মূল গুদামের বাইরে নদীর পাড় পর্যন্ত চলে এসেছে। সুতরাং এখানে কিছু করার নেই। তাদের যথেষ্ঠ সময় দেওয়া হয়েছে। এরপরও রোববার পর্যন্ত সময় আছে সরিয়ে নেওয়ার জন্য। সুতরাং এই কাজ চলবে। ধীরে ধীরে আমরা জোন অনুযায়ী ধরে পতেঙ্গা পর্যন্ত উচ্ছেদ করব। আমি সবার সহযোগিতা চাই। কাউকে স্থায়ী স্থাপনা করতে দেওয়া হবে না। সেটা সরকারি হোক আর বেসরকারি হোক। আমরা কোনোটাই ছাড় দেব না।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ কর্ণফুলীর তীরে গড়ে উঠা দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ প্রদান করেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ