চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও কর্মপন্থা নির্ধারণ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সোমবার রাতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে বিএনপির নীতি নির্ধারকরা। দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির এই বৈঠকে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়। সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হলেও একটি বিষয়ে সব নেতা একমত হন যে, প্রায় তিন দশক পর অনুষ্ঠিতব্য ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল। সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের নীতিনির্ধারকরা।
সূত্র জানায়, বৈঠকে ডাকসু নির্বাচন ছাড়াও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ‘অনিয়মের’ অভিযোগ এনে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করার বিষয়েও আলোচনা করেন নেতারা। ডাকসু নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে বৈঠকে উপস্থিত সব নেতা একমত হন। এজন্য ছাত্রদল নেতাদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়ার কৌশল নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। এছাড়া নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেলে প্রার্থী নির্ধারণ করতে একটি কমিটি গঠনের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাবনা তৈরি করেন নেতারা। এছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ধরে ট্রাইব্যুনালে মামলার বিষয়ে নীতিনির্ধারকরা আলোচনা করেন। দলের একজন নীতিনির্ধারক বলেন, মামলার বিষয়ে ধানের শীষ প্রার্থীদের দেয়া মতামত নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বেশিরভাগ প্রার্থীই বাস্তবতা বিবেচনায় মামলা না করার বিষয়ে মত দিয়েছেন। তবে সব আসনে না হলেও কিছু আসনে মামলা করার বিষয়ে মত দিয়েছেন কেউ কেউ।
ওই নীতিনির্ধারক আরও বলেন, বৈঠকেও বেশিরভাগ নেতা জানিয়েছেন, মামলা করে কোনো লাভ হবে না। বিচার বিভাগে আমরা ন্যায়বিচার পাব না। এসব মামলায় সরকারের পক্ষে রায় যাবে। যার মাধমে নির্বাচনকে নিয়ে সরকার আরও একটি আইনি সমর্থন পাবে। তবে বৈঠকে শেষ পর্যন্ত এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানা গেছে।