শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
প্রচ্ছদটপনির্বাচনে বিএনপির হেরে যাওয়ার দায় তাদের নিজেদের : প্রধানমন্ত্রী

নির্বাচনে বিএনপির হেরে যাওয়ার দায় তাদের নিজেদের : প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচনে বিএনপির হেরে যাওয়ার দায় তাদের নিজেদের। দলের মূল নেতারা সাজাপ্রাপ্ত হলে নির্বাচনে যা ফল হওয়ার তাই হয়েছে। এরপরও যে কয়েকজন বিএনপি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন গণতন্ত্রের স্বার্থে তাদের সংসদে আসা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কার্যনির্বাহী সংসদ এবং উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ সভার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জনগণ আবারো আওয়ামী লীগের উপর আস্থা রাখায় চলমান উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের পাশাপাশি নতুন নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতি আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ এবং উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম যৌথ সভার সূচনা বক্তব্যে প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলে উন্নয়ন হয়, দেশবাসী ও ভোটারদের সেই আস্থারই প্রতিফলন ঘটেছে এবারের নির্বাচনে। আর বিএনপি নিজেদের দোষেই ভোটে হেরেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নির্বাচনে হেরেছে এ দোষটা তারা কাকে দেবে? এ দোষ তাদের নিজেদেরকেই দিতে হয়। কারণ একটি রাজনৈতিক দলের যদি নেতৃত্ব না থাকে, মাথাই না থাকে তাহলে সে রাজনৈতিক দল কীভাবে নির্বাচনে জেতার কথা চিন্তা করতে পারে? যিনি মূল নেতা ছিলেন, তিনি সাজা পেয়েছেন এতিমের অর্থ আত্মসাতের মামলায়। যাকে ভারপ্রাপ্ত নেতা করা হলেও তিনিও হত্যা মামলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামি। একটি রাজনৈতিক দল পলাতক আসামিকে নিয়ে রাজনীতি করতে গেলে কী রেজাল্ট হয় সেটা তারা পেয়েছে। সেটাও হত না যদি তারা মনোনয়ন বাণিজ্যটা না করত। তাহলে হয়তো আরো ভালো রেজাল্ট হয়তো করতে পারত। তারপরও যে কয়টা সিটে তারা জিতেছে গণতন্ত্রের স্বার্থে তারা যদি চায় তাদের পার্লামেন্টে আসা প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছর সরকারের ধারাবাহিকতায় উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাদেশ। আবারো নির্বাচিত হওয়ায় দায়িত্ব আরো বেড়েছে। তাই গ্রামে শহরের সব সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি  মানুষের জীবন মান বাড়াতে নতুন নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের এখন একটাই চিন্তা করতে হবে আমরা যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছি এগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের জীবন মান উন্নত করার জন্য আরো কী কী করতে পারি সেটা চিন্তা করতে হবে। ইতোমধ্যে আমরা অনেক কর্মসূচি নিয়ে রেখেছি। প্রত্যেক গ্রামে মানুষ যেন শহরের মত নাগরিক সুবিধা পায় সেভাবে পরিকল্পনা নিয়েছি। আগামী বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিক এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে বছরব্যাপী কর্মসূচী পালন করা হবে বলে জানান শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ