শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়আমরা চাই নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে : প্রধানমন্ত্রী

আমরা চাই নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে : প্রধানমন্ত্রী

07-12-18-PM-21অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চান বলেই আগের অপমান সয়েও সংলাপ করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অগ্নিসন্ত্রাসী, যুদ্ধাপরাধীরা আবার ক্ষমতায় এলে দেশকে ধ্বংস করে দেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নিতেই সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। শুক্রবার সন্ধ্যায় গণভবনে সচিব, রাষ্ট্রদূতসহ ৩০৭ জন অবসরপ্রাপ্ত উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের সঙ্গে একাত্মতা জানানো উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব বলেন প্রধানমন্ত্রী। সচিব, রাষ্ট্রদূতসহ ৩০৭জন অবসরপ্রাপ্ত উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা শুক্রবার সন্ধ্যায় যান গণভবনে। নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির সঙ্গে একাত্মতা জানানোই তাঁদের সেখানে যাওয়ার উদ্দেশ্য বলে জানান সবাই। তাঁদের উদ্দেশ্যে রাখা বক্তব্যে উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠ হোক এমনটাই বর্তমান সরকারের চাওয়া বলে জানান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে। আপনারা জানেন অনেক অপমান, অনেক কিছু সহ্য করার পরেও যখন অন্যান্য দলগুলো চাইলো যে আমার সঙ্গে ডায়ালগ করবে, আমি কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেলাম। কারণ আমার একটিই কথা ছিল যে, ঠিক আছে সকলে মিলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন, নির্বাচনটা অবাধ, নিরপেক্ষ হবে। আমাদের এই নিয়ত নেই যে ভোট কেড়ে নিয়ে জিতব। জনগণের জন্য কাজ করেছি। জনগণ যদি খুশি হয়ে ভোট দেয় আছি ক্ষমতায়। না দিলে নাই। আসলে শুধু কাজ করলেই মানুষ ভোট দেবে তা নয়। মানুষকে স্মরণ করিয়ে দিতে হয়। বলতে হয় যে এ সরকার আপনার জন্য এ কাজ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে কখনোই সরকারি কোন কর্মকর্তার প্রতি প্রতিহিংসামূলক আচরণ করেনি; যা বিএনপি জামায়াত জোট সরকার করেছিল বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আমি চাই না খুনির দল, যুদ্ধাপরাধীর দল, স্বাধীনতাবিরোধী, অগ্নিসন্ত্রাস যারা করে তারা আর এদেশের ক্ষমতায় আসুক তা আমরা কেউই চাই না। তাহলে তারা দেশটাকে ধ্বংস করে দেবে। আমরা ধ্বংসের দিকে নয় অগ্রগতির দিকে যেতে চাই। আর তা চাই বলেই সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ