দেশের প্রত্যন্ত অ লে ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে থাকা মানুষদের আধুনিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড।
৩০ অক্টোবর, ২০১৮ ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান স্যার ফজলে হাসান আবেদ কেসিএমজি, ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের আটটি বিভাগের বিভিন্ন স্থানে আনুষ্ঠানিকভাবে এজেন্ট ব্যাংকিং উদ্বোধন করেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন এবং এসএমই ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান প্রধান সৈয়দ আব্দুল মোমেনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জের আদমজীনগর, যশোরের রাজগঞ্জ বাজার, চুয়াডাঙ্গার সিরাজগঞ্জ বাজার, কুমিল্লার বিজরা বাজার, বগুড়ার নন্দীগ্রাম, ভোলার বোরহানউদ্দিন বাজার, সিলেটের কালীগঞ্জ বাজার, কুড়িগ্রামের উলিপুর বাজার, ময়মনসিংহের তারাকান্দা বাজার এবং পিরোজপুরের ভান্ডারিয়াা।
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের চালুর ফলে দেশের প্রত্যন্ত এলাকার গ্রাহকরা অ্যাকাউন্ট খোলা, নগদ টাকা জমা ও উত্তোলন, ডিপিএস, এফডিআর, ফান্ড ট্রান্সফার, বৈদেশিক রেমিট্যান্স, ইউটিলিটি বিল ও বিমা প্রিমিয়াম, ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধ, সরকারি ভাতা গ্রহণ, ডেবিট কার্ড ও চেক বই গ্রহণ, স্কুলের বেতন প্রদান এবং আরো অনেক সেবা এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট থেকে গ্রহণ করতে পারবেন।
এই অনুষ্ঠানে স্যার ফজলে হাসান আবেদ বলেন যে, ব্র্যাক ব্যাংকের ভিশন হচ্ছে ব্যাংকিং সুবিধার বাইরে থাকা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবার আওতায় নিয়ে আসা। সাধারণ মানুষকে আর্থিক ব্যবস্থার মূলস্্েরাতে অন্তর্ভুক্তিতে এজেন্ট ব্যাংকিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এই নতুন বিতরণ চ্যানেলটি গ্রামীণ অর্থনীতির অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখবে এবং এসএমই ঋণ ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মতো সফলতা লাভ করবে। ব্র্যাক ব্যাংক দ্রুততার সাথে সারা দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা সম্প্রসারিত করবে এবং আগামীতে এ ব্যবসায় ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যতম স্থান অজন করবে।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, “আমাদের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকরা বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ ও স্বয়ংক্রিয় লেনদেনের সুবিধা পাবেন যা তাদের জন্য নিরাপদ, সহজ ও সাশ্রয়ী হবে। এজেন্ট ব্যাংকিংকে একটি কার্যকর ব্যাংকিং চ্যানেলে পরিণত করতে আমরা আমাদের দীর্ঘদিনের প্রতিষ্ঠিত এসএমই নেটওয়ার্ককে কাজে লাগাবো। এজেন্ট ব্যাংকিং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে।”