রবিবার, মে ১২, ২০২৪
প্রচ্ছদরাজনীতিতৃণমূল এনডিএমের ৫১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা

তৃণমূল এনডিএমের ৫১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা

২৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তৃণমূল এনডিএমের উদ্যোগে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও জাতীয় কমিটি গঠন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তৃণমূল এনডিএমের চেয়ারম্যান খোকন চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তৃণমূল এনডিএমের মহাসচিব এডভোকেট কায়সারুল ইসলাম। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. আলী, মোস্তাফিজুর রহমান পিজা, রুহুল আমিন বাবুল, ফরিদা আকতার, ইকবাল হোসেন, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, আবুল বশর চৌধুরী, মো. আবছার উদ্দিন, আমির হোসেন, একরামুল হক চৌধুরী, মো. রফিকুল ইসলাম, সিরাজুন নূর বেগম, মো. শহিদুল্লাহ, আবদুল মোতালেব, আলহাজ্ব এম এ হালিম রাজ, এ কে এম ফয়েজ উদ্দিন, কামরুল হাসান (শামীম), এডভোকেট সাইদুল হক বুলবুল, নুরুল হক সবুজ, কামাল উদ্দিন, মোহাম্মদ আলী, রাজ্জাকুল হায়দার, আবদুস সোবহান, মো. সুমন, আফসার উদ্দিন বিপ্লব, সৌরভ কান্তি দত্ত, মো. ওবায়দুল্লাহ, মো. সেলিম উল্লাহ, হুমায়ুন কবীর ভূইয়া, লালন মিয়া, মো. রুবেল, আবদুস সালাম, আলতাফ হোসেন, এহসানুল করিম চৌধুরী, আবদুর আউয়াল, আরিফুল ইসলাম, এস এম শুভ, জাহিদ হোসেন, আমিনুর রহমান, নুরুল ইসলাম, মীর আবদুর রায়হান, আবদুল্লাহ আল নোমান, মো. মোস্তফা, সুমন রেজা, রিনা জামান, উর্মি জামান, জামাল উদ্দিন, মিজানুর রহমান, সাব্বির আহমদ প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে তৃণমূল এনডিএমের চেয়ারম্যান খোকন চৌধুরী জানান, আমরা লড়ছি গণমানুষের অধিকার আদায়সহ সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে। তৃণমূল এনডিএম তার জন্ম লগ্ন থেকে গণমানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন করছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে এই দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন, আমি সেই শহীদদেরকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি। তৃণমূল এনডিএম এর সংবাদ সম্মেলন থেকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি। ‘৭১ সালে আমাদের সংগ্রাম ছিল একই সাথে স্বাধীনতার সংগ্রাম এবং মুক্তির সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় জাতীয় মুক্তির আন্দোলনের লক্ষ্যে পরিচালিত সংগ্রাম। যে কারণে এই জনযুদ্ধ সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছিল। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নিকট প্রতিবেশী ভারতসহ যে সকল দেশ ও বন্ধুপ্রতিম জনগণ সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়েছিলেন, আমি তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তৃণমূল এনডিএমের চেয়ারম্যান খোকন চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে আরো জানান, সব সামাজিক পরিবর্তন ও বিবর্তনের অনুঘটক হচ্ছে মানুষ। মানব সমাজের বিবর্তনের ইতিহাস হলো নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রামের ইতিহাস। এ সংগ্রাম কেবল একদল মানুষের অপর এক দল মানুষের সঙ্গে যুদ্ধ করে যাওয়ার সংগ্রাম নয়। এটা মানুষের ভালোভাবে বেঁচে থাকার, নিজের অধিকার আদায় করার ও সুসংহত করার, অপরকে ভালো থাকতে দেয়ার সংগ্রাম। এর বিপরীতে যাদের অবস্থান তাদের সঙ্গে অনিবার্যভাবেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার ইতিহাস। সমাজে সর্বদাই কোনো না কোনোভাবে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মতানৈক্যগুলো বিদ্যমান থাকে, কারণ সমাজের সব মানুষের মনস্তত্ত্ব একরকম হয় না বা বস্তুগত ও দৈহিক চাহিদাগুলোও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভিন্নমুখী। স্বাভাবিকভাবেই তাদের প্রয়োজনগুলোও একরকম হয় না। ব্যক্তিস্বার্থ তাই মানুষের কর্মকাণ্ডে ও আচরণে প্রভাব ফেলতে বাধ্য। এই প্রভাবগুলো যখন গোষ্ঠীস্বার্থকে বাধাগ্রস্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত করে তখন সামাজিক সংঘাত হয়ে পড়ে অপরিহার্য। ইতিহাসের সব যুদ্ধবিগ্রহ, শোষণ-বঞ্চনা, অন্যায়-অবিচার এসব স্বার্থসংশ্লিষ্ট আচরণ থেকেই উদ্ভূত। তাই মানবসমাজকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য ও মানুষের শান্তিতে বসবাস করার মতো সমাজ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য এসব মতানৈক্যের যুক্তিসঙ্গত সমাধান প্রয়োজন। আর এই যুক্তিসঙ্গত সমাধান হচ্ছে সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য যেসব বিধিব্যবস্থা ও উপকরণের আবশ্যক সেগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য প্রয়োজনানুযায়ী সব কিছু করে যাওয়া। যেহেতু আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হচ্ছে সাফল্য ও উন্নয়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পূর্বশর্ত, এই শর্ত পূরণের জন্য প্রয়োজন সব শুভ শক্তির মতৈক্য ও ঐক্যবদ্ধভাবে সব অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
তৃণমূল এনডিএমের চেয়ারম্যান খোকন চৌধুরী লিখিত বক্তব্যে জানান, যে কোনো ধরনের সমস্যা, তা হোক সামাজিক, অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক, তার সমাধান বহুলাংশে নির্ভরশীল এর সমাধানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি, দল বা গোষ্ঠীর সেই সম্যস্যা সঠিকভাবে নির্ণয় করা এবং জনস্বার্থে এর সমাধান করার ক্ষমতা ও সদিচ্ছার ওপর। পরস্পরবিরোধী সামাজিক, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক কোনো শক্তির বিরোধের বিষয়টি যখন নীতিগতভাবে জনস্বার্থ বিষয়ক হয় তখন সেই স্বার্থ রক্ষা করাটাই হচ্ছে সঠিক সিদ্ধান্ত। আমাদের ভাষা সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অধিকারের জন্য সংগ্রাম, সামরিক স্বৈরতন্ত্রবিরোধী সব আন্দোলন, এগুলো জনগণের আন্দোলন এবং সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমেই এসব আন্দোলনে সফলতা এসেছে। অর্থাৎ যে কোনো দ্বন্দ্ব নিরসনের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত জনস্বার্থের মৌলিক বিষয়গুলোকে রক্ষা করা। বাংলাদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ যখন দুর্নীতি, নিপীড়ন, সামাজিক অস্থিরতা, অর্থনৈতিক বিশৃংখলা ও একদলীয় স্বৈরশাসনের নাগপাশে আবদ্ধ, দেশের অবস্থা যখন বিপর্যস্ত, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব যখন বিপন্ন – ঠিক তখনই ২০১৮ সালের ৭ সেপ্টম্বর দেশপ্রেমিক জনগণকে সাথে নিয়ে তৃণমূল এনডিএম গঠন করা হয়। আজ সেই তৃণমূল এনডিএমের ৫১বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করছি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ