একাদশ সংসদ নির্বাচনে আর ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না বলে আবারো জানালেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, আজকেই আমার শেষ সুযোগ। আমি আর নির্বাচনও করছি না। তাই এটিই নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমার শেষ বক্তৃতা। আমি আসলেই যাচ্ছি এটা ঠিক, তবে আমি চলে যাচ্ছি না। আমি থাকব, আমি থাকব। সংশ্লিষ্টতা থাকবে, কিন্তু গুরু দায়িত্ব যেটা পালন করতে হয় অর্থমন্ত্রী হিসেবে সেটা পালন করতে পারছি না।
প্রস্তাবটি হচ্ছে রোহিঙ্গা ইস্যূতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক ও উদার দৃষ্টিভঙ্গি, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, দর্শন-চিন্তা দেশে-বিদেশে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত ও সমাদৃত হচ্ছে। এরই ফলশ্রুতিতে ইন্টার প্রেস সার্ভিস নিউজ এজেন্সি, ইউএন কর্তৃক হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাওয়ার্ড এবং গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন কর্তৃক স্পেশাল ডিসটিনশন অ্যাওয়ার্ড ফর লিডারশীপ সন্মাননায় ভূষিত করা হয়েছে। এসকল সন্মাননা অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলতর করায় প্রধানমন্ত্রীকে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনার মাধ্যমে ধন্যবাদ জানানো হোক।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শুধু আমাদের নেতা নন, তিনি বিশ্বের ৩-৪ জন নেতার একজন। তার সমস্ত ধ্যাণ-ধারণা কর্মকাণ্ড সবই হচ্ছে জনকল্যাণে নিবেদিত। তার অধিনে কাজ করা, তার কাজে সহায়তা আমার জন্য অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য সৌভাগ্য। দশ বছরে সরকার অনেক উন্নয়ন করলেও এখনো তিন কোটি মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে আছে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এখনো তিন কোটি মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে আছে। তাদের সেই অবস্থা থেকে উত্তরণের সুযোগ করে দেওয়া আমাদের কর্তব্য, রাষ্ট্রের প্রধান কর্তব্য। আমরা এ ব্যাপারে নিবেদিত, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একান্তই নিবেদিত। আপনারা যারা আবার আসবেন এটা মনে রাখবেন।
উপস্থিত সকল সংসদ সদস্যের কাছে দোয়া চেয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের কাছে দোয়া চাই। আমার জীবনের যা করতে সক্ষম হয়েছি তার প্রধান কারণ মানুষের দোয়া, মানুষের সমর্থন। আমি আসলেই যাচ্ছি এটা ঠিক, তবে আমি চলে যাচ্ছি না, আমি থাকব, সংশ্লিষ্টতা থাকবে, কিন্তু গুরু দায়িত্ব যেটা পালন করতে হয় অর্থমন্ত্রী হিসেবে সেটা পালন করতে পারছি না। এসময় পাশে বসে থাকা বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদকে বলতে শোনা যায়, দরকারটা কি? জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দরকার নেই বলেই তো বলছি। আপনাদের বন্ধুত্ব, সহায়তা সেটা আমি আসা করছি।