বুধবার, মে ১, ২০২৪
প্রচ্ছদজাতীয়ভারতীয় পণ্য পরিবহনে চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা

ভারতীয় পণ্য পরিবহনে চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা

ভারতীয় পণ্য চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করে সে দেশের উত্তর-পূর্ব রাজ্যে পরিবহনের জন্য একটি চুক্তির খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ১৭ সেপ্টম্বর তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরের জন্য এ সংক্রান্ত খসড়া চুক্তিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।17-09-18-PM_Cabinet Meeting-5

বৈঠক শেষ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, ভারতের সাথে স্বাক্ষরে জন্য চট্রগাম ও মংলা পোর্টে যোগাযোগের জন্য যে কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক তৈরি করা হচ্ছে তার চুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এখানে প্রভিশন রাখা হয়েছে নেপাল ও ভুটান যদি ইচ্ছা প্রকাশ করে তবে যুক্ত হতে পারবে।

রুট সম্পর্কে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা পোর্ট টু আগরতলা ভায়া আখাউড়া, চট্টগ্রাম ও মোংলা পোর্ট টু ডাউকি ভায়া তামাবিল, চট্টগ্রাম ও মোংলা টু সুতাকান্তি ভায়া শেওলা, চট্টগ্রাম ও মোংলা পোর্ট বিবিরবাজার ভায়া সীমান্তপুর।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে চলমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সুদীর্ঘ করা এ চুক্তির উদ্দেশ্য। চট্টগ্রাম এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতীয় পণ্য ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যে পরিবহন করা হবে। দেশের অভ্যন্তরে পণ্য সামগ্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বাংলাদেশের যানবাহন ব্যবহার করা হবে, বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নিয়ম (গ্যাট) এবং দেশের নিয়ম মেনে চলতে হবে, শুল্ক বিভাগ ডিউটিজ অ্যান্ড ট্যাক্সেস সমপরিমাণ বন্ড গ্রহণ করা হবে। মালবাহী কার্গো শনাক্তকরণের জন্য ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করা হবে। আমাদের আইন অনুযায়ী শুল্ক ও ট্যাক্স তাদের দিতে হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের সক্ষমতা অনুসারে মালামাল পরিবহন অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে। বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে মালামাল পরিবহনের জন্য গ্যাট প্রিন্সিপাল অনুসারে শুল্ককর ব্যতীত চার্জ ফি ও পরিবহন খরচ আদায় করা হবে। বাংলাদেশের স্থলবন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে স্থলবন্দরের দক্ষতা বৃদ্ধির ফি আদায় হবে।

চুক্তি অনুযায়ী, নৌ সচিবদের নেতৃত্বে গঠিত ইন্টার গর্ভমেন্ট কমিটির মাধ্যমে উদ্ভূত সমস্যার নিরসন করা হবে এবং উভয় দেশের কর্মকর্তা সমন্বয়ে কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট সাব গ্রুপ গঠন করা হবে। জরুরি প্রয়োজনে বা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে যে কোন পক্ষ চুক্তির বাস্তবায়ন সাময়িকভাবে স্থগিত করার সুযোগ আছে। চুক্তিটি পাঁচ বছরের জন্য সম্পাদিত হবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরো পাঁচ বছর বলবৎ থাকবে। তবে ৬ মাসের নোটিশে যে কোন পক্ষ চুক্তিটি বাতিল করতে পারবে।

সরকারি মালিকাধীন ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো) এবং চায়নার হেক্সিং ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানি চায়না ৪৯ ও ৫১ অংশীদারিত্বে একটি কোম্পানি করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। এই কোম্পানি নাম দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ স্মার্ট ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, স্মার্ট মিটার থেকে শুরু করে সব ধরনের ইলেকট্রিক্যাল সরঞ্জাম উৎপাদন করতে পারবে। ৫০ কোটি টাকা হবে এটির অথরাইজ ক্যাপিটাল এবং পরিশোধিত হবে ২৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৪ কোটি ৫৮ লাখ দেবে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি এবং ১৪ কোটি এক লাখ দেবে হেক্সিং। কোম্পানির বার্ষিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হবে ৫ লাখ সিঙ্গেল ফেইজ স্মার্ট পেমেন্ট মিটার।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ