শনিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৪
প্রচ্ছদটপকাদেরের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করলেও একটি বিষয়ের সঙ্গে একটু ভিন্নমত পোষণ...

কাদেরের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করলেও একটি বিষয়ের সঙ্গে একটু ভিন্নমত পোষণ করি : আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী

সম্প্রতি ঢাকায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমন একটি কথা বলেছেন, যা লন্ডনের একটি জামায়াতপন্থী কাগজে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত আওয়ামী লীগের শত্রু নয়। শত্রুরা রয়েছে ছদ্মবেশে এবং তারাই বেশি সক্রিয়।’ আমি তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করলেও একটা বিষয়ে একটু দ্বিমত পোষণ করি। শুধু আওয়ামী লীগ নয়, দেশে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী সব গণতান্ত্রিক দলেরই প্রতিপক্ষ বিএনপি। বিএনপির আদর্শ ও লক্ষ্য মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও লক্ষ্যের সম্পূর্ণ বিপরীত। তবু তারা শত্রু নয়, এ কথা ঠিক।

কিন্তু বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগসহ সব গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক দলের প্রধান এবং আসল শত্রু জামায়াত। বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাজনীতি করায় তাকেও শত্রুপক্ষ বলে মনে করা যেতে পারে। কিন্তু বিএনপির রাজনীতি মূলত শঠতা, ষড়যন্ত্র ও সন্ত্রাসভিত্তিক। দেশের মানুষ আশা করেছিল, বিএনপির জন্মবৃত্তান্ত যা-ই হোক, দলটি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জিয়াউর রহমানের সেনাশাসনের লিগেসি ত্যাগ করে গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথে এগোবে এবং দেশে দ্বিদলীয় সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা সুস্থতা লাভ করবে। বিএনপি হবে স্বাধীনতার আদর্শে বিশ্বাসী একটি রক্ষণশীল দল এবং আওয়ামী লীগ হবে একই আদর্শে বিশ্বাসী উদারনৈতিক দল। বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্রিটেনের রাজনীতির মতো চরম ডানপন্থী এবং চরম বামপন্থী রাজনীতি কখনো মাথা তুলতে পারবে না। দেশের স্বাধীনতার শত্রু জামায়াত সব গণতান্ত্রিক শক্তির চিহ্নিত শত্রু হিসেবে বাংলার মাটি থেকে উচ্ছেদ হবে।

মানুষের সেই আশা পূর্ণ হয়নি বিএনপির পদস্খলন ও জামায়াতের সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য। তথাপি বিএনপি এখনো বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতের মতো ধিক্কৃত ও প্রত্যাখ্যাত দল নয় এবং আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ হিসেবে রাজনীতিতে এখনো সক্রিয়। ওবায়দুল কাদের যাঁদের ছদ্মবেশী শত্রু বলেছেন তাঁদের নামোচ্চারণ না করলেও পরিচয় ও ঠিকানা দিয়েছেন। বলেছেন, ‘তাঁরা সুশীল সমাজে আছেন, গণমাধ্যমেও আছেন।’ অর্থাৎ এরা হলো দেশের একটি সুশীল সমাজ এবং তাদের দুটি প্রচারমাধ্যম। আমি এখানেই ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সামান্য দ্বিমত পোষণ করি।

এঁরা নিজেদের স্বার্থে এবং দেশে-বিদেশের কায়েমি স্বার্থের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে দেশের বৃহত্তর স্বার্থ ও আওয়ামী লীগ শাসনের প্রতিপক্ষ সেজেছেন। এঁরা বিদেশি প্রভুদের কাছে ধরনা দিয়ে, বিদেশের শক্তিশালী পিআর-প্রথার সাহায্যে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জোর গুজব ছড়িয়ে (যেমন সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের সময় ছড়িয়েছেন) দেশের শত্রুদের হাতে শক্তি জোগাতে পারেন; কিন্তু আওয়ামী লীগকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ জানানোর সাহস, যোগ্যতা ও ক্ষমতা এঁদের নেই। কারণ দেশের রাজনীতিতে এঁরা জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত চক্র।

এঁরা সিজনাল পলিটিশিয়ান। নির্বাচন এলেই জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার স্লোগান মুখে নিয়ে মাঠে নামেন। নির্বাচনের আগে বছরের পর বছর তাঁদের পলিটিকস ড্রয়িংরুম পলিটিকস। জনগণের কোনো সমস্যায় বা আন্দোলনে তাদের পাশে এসে দাঁড়াতে পারেন না। তখন কেউ বিদেশে যান বা নিজ নিজ পেশায় ব্যস্ত থাকেন। নির্বাচন এলেই এঁরা জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ধুয়া তুলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে মাতেন, গণতান্ত্রিক বিরোধিতার রাজনীতিতে নয়। যাঁদের নিজেদের মধ্যে ঐক্য নেই, তাঁরা জাতীয় ঐক্য গড়বেন কিভাবে? আওয়ামী লীগ অবশ্যই এঁদের রাজনৈতিক শক্তিকে নয়, ষড়যন্ত্রের শক্তিকে উপেক্ষা না করলে ভালো করবে।

এঁরা জনগণের দাবিদাওয়ার পক্ষে কথা বলেন। তাহলে জনগণের প্রকৃত দাবিদাওয়ার আন্দোলনে তাদের পাশে এসে দাঁড়ান না কেন? এবারের নিরাপদ সড়কের দাবি এবং কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনের মতো এত বড় অরাজনৈতিক গণ-আন্দোলন তো সম্প্রতি আর হয়নি। জনগণের এই দাবিতে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আপনারা রাজপথের মিছিলে পুলিশের লাঠির সামনে এসে দাঁড়ানোর সাহস দেখালেন না কেন? কিশোর ছাত্রদের পাশে দাঁড়িয়ে আহত হলেন না কেন? পাকিস্তান আমলে ভাষা আন্দোলনে, খাদ্য আন্দোলনে ছাত্র-জনতার শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান পুলিশের লাঠির আঘাত খেয়েছেন, আহত হয়েছেন, তারপর জননেতা হয়েছেন। আপনারা এবারের ছাত্র আন্দোলনে তা পারলেন না কেন? অথচ আপনারা জননেতা হতে চান।

এঁরা যদি প্রকৃত রাজনীতিক হতেন, তাঁদের রাজনৈতিক দূরদর্শিতা থাকত, তাহলে এবারের আন্দোলন সফল হতে দিতেন। তাঁরা চেয়েছেন এই অরাজনৈতিক আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত করতে। এই আন্দোলনকে বিপথগামী করে নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে। কিন্তু নিজেরা সামনে আসার সাহস পাননি। তাই শহিদুল আলমের মতো একজন ফটোগ্রাফার এবং নওশাবার মতো এক অভিনেত্রীকে সামনে খাড়া করে দেশে নির্যাতন, ধর্ষণ, গণহত্যা চলছে বলে মিথ্যা প্রচার চালিয়ে সফল হবেন ভেবেছিলেন।

শহিদুল আলমের আলোকচিত্রশিল্পী হিসেবে কিছু খ্যাতি আছে, আমাদের সুশীলদের নিজেদের কারো কারো আন্তর্জাতিক প্রভাব রয়েছে। সেই প্রভাব খাটিয়ে শহিদুলকে বিশ্বখ্যাত ব্যক্তি বানিয়ে এক দল নোবেল লরিয়েটের কাছ থেকেও তাঁর ওপর বর্বর কথিত নির্যাতন চালানোর বিরুদ্ধে বিবৃতি আদায় করা হয়েছে। এখন তো লন্ডনে জোর গুজব—এসব বিবৃতির ড্রাফটিং এবং সই সংগ্রহ বিলাতের একটি নামকরা পিআর কম্পানি দ্বারা করা হয়েছে। ভাগ্য ভালো, নওশাবার বয়স কম, পুরনো অভিনেত্রী নন, তাই তাঁকে গ্রেটা গার্বো বানিয়ে এক দল নোবেল বিজয়ীর কাছ থেকে তাঁর জন্যও বিবৃতি আদায় করা যায়নি।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এঁরা ছদ্মবেশী। এ ব্যাপারে আমি তাঁর সঙ্গে একমত। তবে তাঁরা দেশে নির্বাচন এলেই ছদ্মবেশ বদলান। বাইরে তাঁদের পরিচয় মুক্ত বুদ্ধিজীবী, নিরপেক্ষ মিডিয়া। ভেতরে ভেতরে তাঁরা আওয়ামী লীগ ও হাসিনা-নেতৃত্বের চরম বিদ্বেষী। এই দল ও নেতৃত্বের বিরোধিতা করতে গেলে যদি দেশে অসাম্প্রদায়িকতা, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ এবং গণতন্ত্রের ক্ষতি হয়, তাতেও তাঁদের আপত্তি নেই।

১৯৯১ সালে নির্বাচনের সময় বিএনপির মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী চরিত্র এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার ব্যাপারে দলের প্রতিষ্ঠাতা নেতার যোগসাজশের কথা জানা থাকা সত্ত্বেও এই দলের বিরুদ্ধে সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে এক ফ্রন্টে শামিল হতে না দিয়ে বাম গণতান্ত্রিক দলগুলোকে আলাদা জোট গঠনে উৎসাহিত করেন। এই জোটের কোনোটাই নির্বাচনে উতরাতে পারেনি। শুধু আওয়ামী লীগের ভোট কেটে বিএনপির জয়ের পথ প্রশস্ত করেছে। ১৯৯১ সালে যদি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সব ডান-বাম গণতান্ত্রিক দল একজোট থাকত, তাহলে নির্বাচনে বিএনপির মার্জিনাল জয়লাভ ছিল অসম্ভব। তাদের এই অপ্রত্যাশিত জয়ই বাংলাদেশে পরবর্তীকালে বিএনপি-জামায়াতের জন্য সহজেই ক্ষমতা দখলের পথ করে দেয়।

১৯৯৬ সালের নির্বাচনের সময় এই সুশীল সমাজ চক্রান্ত করেও সফল হতে পারেনি। বিএনপি সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনে মানুষ এত ক্ষুব্ধ ছিল যে সুশীল সমাজ নিরপেক্ষতার নতুন ছদ্মবেশ ধারণ করলেও বিএনপিকে তারা সাহায্য দিতে পারেনি। বিএনপির প্রতি জনগণের ঘৃণা ও অসন্তোষ তখন এতই ব্যাপক ছিল যে জামায়াত পর্যন্ত তাদের সমর্থন দিতে সাহসী না হয়ে বিরোধী আন্দোলনে গিয়ে শামিল হয়েছে। যদিও নির্বাচনের শেষে দলের আমির গোলাম আযম তাঁদের কর্মী ও সমর্থকদের গোপন নির্দেশ দেন বিএনপিকে ভোট দিয়ে বাঁচানোর জন্য।

২০০১ সালের নির্বাচনের সময় এই সুশীল সমাজের মুখোশ খুলে যায়। তাদের শীর্ষস্থানীয় নেতারা (বর্তমানে যুক্তফ্রন্ট গঠনের হোতা) বিচারপতি সাহাবুদ্দীন ও তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমানের দুর্বলতা ও সুবিধাবাদিতার সুযোগ নিয়ে তাঁদের কনসাস-কিপার হয়ে বসেন। একই সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত অ্যান মেরির নেতৃত্বে পশ্চিমা কূটনীতিকদের ‘টিউসডে ক্লাব’ ২০০ বছর আগের ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির খেলা শুরু করে। দুটি সংবাদ মিডিয়া তাদের নিরপেক্ষতার মুখোশ খুলে ‘মোগল হারেম’ নাটকের নটীর ভূমিকা গ্রহণ করে। বাংলাদেশ ও বাঙালির ভাগ্যে নেমে আসে সাম্প্রদায়িকতার দানব ও গণবিরোধী শক্তির দুঃসহ দুঃশাসন।

২০০৬ সালে আরেকটি সাধারণ নির্বাচনের মুখে এই সুশীল সমাজ আরেকটি ষড়যন্ত্র শুরু করে। সেটি হলো, এবার যখন আওয়ামী লীগের নির্বাচন-জয় অনিবার্য তখন ‘রাজনীতিকদের দুর্নীতি ও অপশাসন’ থেকে দেশকে মুক্ত করা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার নামে একটি অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতায় আনা। এই সরকারের মাথায় শিখণ্ডী হিসেবে একটি সিভিল ফেস থাকলেও ক্ষমতা থাকবে সেনাপ্রধানদের হাতে। এই সরকার হাসিনা ও খালেদাকে (মূলত হাসিনাকে) রাজনীতি থেকে, এমনকি দেশ থেকেও বহিষ্কার করবে এবং দেশে সুশীল সমাজের একটি অনির্বাচিত সরকারকে দীর্ঘকালের জন্য ক্ষমতায় বসানোর ব্যবস্থা করে দেবে। মূলত তখনকার এক-এগারোর সরকারের মাইনাস টু থিওরির উদ্ভাবক এই সুশীল সমাজ।

অদূর ভবিষ্যতে বিনা বাধায় এই সরকার গঠনের লক্ষ্যে সুশীল সমাজের শীর্ষস্থানীয় নেতারা দেশে রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধ থাকার সময়ই রাজনৈতিক দল গঠনে তৎপর হন। একজন অর্ধ নোবেলজয়ী বিমানবন্দরের চত্বরে দাঁড়িয়ে নতুন দল গঠনের ঘোষণা দেন। আরেক অর্ধখ্যাত নেতা রাজপথে হোন্ডা নামিয়ে নতুন হোন্ডাদল গঠনের পতাকা ওড়ান। সব নির্যাতনের মুখে শেখ হাসিনার অনমনীয় সাহস ও সংগ্রাম সুশীল সমাজের এই চক্রান্তও ব্যর্থ করে দেয়। এই চরম ব্যর্থতার পর সুশীল সমাজের এক শীর্ষ নেতা তো রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার প্রকাশ্য সিদ্ধান্ত নেন। এই সিদ্ধান্ত তিনি কোনো দিন কার্যকর করেননি।

সাপের মতো খোলস বদলাতে এই সুশীল সমাজ পারদর্শী। ২০১৮ সালে যখন দেশে আবার একটি সাধারণ নির্বাচন আসন্ন তখন তারা আবার পর্দার আড়াল থেকে বেরিয়ে এসেছে। হঠাৎ যেন ঘুম থেকে জেগে উঠেছে। মুখে গণতন্ত্রের বাণী। কিন্তু লক্ষ্য একটাই—আওয়ামী লীগ বধ। এই লক্ষ্যে যুক্তফ্রন্ট গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ১৯৫৪ সালে একবার হক-ভাসানীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল। সেটি ছিল জনতার ঐক্য। এটি নেতায় নেতায় ঐক্য। এই ঐক্যের নেতারাও জনগণ কর্তৃক বারবার প্রত্যাখ্যাত। তাঁদের রাজনৈতিক উদ্বাস্তু বললে ভুল বলা হয় না। এঁরা যুক্ত হয়েছেন। অতীতে বারবার যুক্ত হয়ে বিযুক্ত হয়েছেন। এবারও হবেন। কারণ এঁদের মধ্যে আদর্শগত, চরিত্রগত ও নীতিগত কোনো মিল নেই। আছে সাময়িক লক্ষ্যের মিল। সেই একটিমাত্র লক্ষ্য হলো, আওয়ামী লীগ বধ। দেশে দীর্ঘকাল পর যে শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল নেতৃত্ব গড়ে উঠেছে, তা ধ্বংস করা।

এবারও তাঁরা এ খেলায় সফল হবেন, তা আমি বিশ্বাস করি না। ২০০১ ও ২০০৬ সালের চেয়ে মানুষ এখন অনেক সচেতন। আর এই সাপের খেলা বারবার দেখে দেশের মানুষ বুঝে ফেলেছে, এঁদের বিষ নেই। এঁরা মন্ত্রশাসিত সাপ। দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের হাতে বাঁশি বেজে উঠলেই এঁরা নাচেন। নাচ শেষে সাপুড়ের ঝাঁপিতে ঢুকে পড়েন।

তবে অতীতের মতো এঁরা আওয়ামী লীগের একটা ক্ষতি করতে পারবেন। আগামী নির্বাচনে এঁরা জয়ী হবেন, সে আশায় গুড়ে বালি। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্যে জোট না বাঁধলেও তাদের সহায়ক শক্তি হবেন, আওয়ামী লীগের ভোট কাটতে। ওবায়দুল কাদেরকে অনুরোধ জানাই, এঁদের সম্পর্কে শুধু সতর্কবাণী উচ্চারণ না করে এঁদের ‘অসওয়াসা’ থেকে দেশের মানুষকে মুক্ত করার জন্য আওয়ামী লীগের প্রচারযন্ত্রকে শক্তিশালী করুন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ