শুক্রবার, মে ২৪, ২০২৪
প্রচ্ছদচট্রগ্রাম প্রতিদিনহাটহাজারীতে অজ্ঞাত রোগে ৪ শিশুর মৃত্যু

হাটহাজারীতে অজ্ঞাত রোগে ৪ শিশুর মৃত্যু

হাটহাজারীর সোনাই-ত্রিপুরা পাড়ায় হঠাৎ অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে একই পরিবারের তিনজনসহ ৪ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও ২১ শিশুকে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, হাটহাজারীর এক নম্বর ফরহাদাবাদ এলাকার সোনাই-ত্রিপুরা পাড়া থেকে ২১ আগস্ট থেকে ২৬ আগস্ট পর্যন্ত ২১ শিশুর জ্বর ও শরীরে ছোট ছোট দাগ নিয়ে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলেও বাকি ১৮ জন সুস্থ আছে। তবে যে চার শিশু মৃত্যুর কথা বলা হচ্ছে তারা সবাই বাড়িতেই মৃত্যুবরণ করেছে। এখন পর্যন্ত চিকিৎসকরা জানতে পারেনি আসলে কী রোগে ‍আক্রান্ত তারা। ইতোমধ্যে ঢাকায় পাঠানোর জন্য কয়েকটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মৃত্যু হওয়া একই পরিবারের তিনজন হলো, অন্ন রায় (০৫), সুমা রায় (০৩) ও অন্ন বালা (০৭)।  তারা এক নম্বর ফরহাদাবাদ দক্ষিণ উদারীয়া এলাকার শাম কুমার চাকমার মেয়ে।

বড় ভাই বিমল ত্রিপুরা বলেন, হঠাৎ করে শনিবারের (১৭ আগস্ট) দিকে আমার ওই তিন বোনের গাঁয়ে জ্বর উঠে। কয়েকদিন পর পুরো শরীরে কালো কালো দাগও পড়ে। ২১ আগস্ট দুপুরের দিকে অজ্ঞান হয়ে পড়ে অন্ন রায়। পরে চিকিৎসকরা বেঁচে নেই বলে জানান। পরে শুক্রবার মারা যায় সোমা রায়।  সর্বশেষ আজ সকাল ৮টায় মারা যায় অন্ন বালা। আরেকজন শিম‍ুনী ত্রিপুরা (০৩) একই এলাকার রমেশ চাকমার মেয়ে। ২১ আগস্ট মারা যায় শিশুটি।

স্থানীয় মেম্বার সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সোনাই ত্রিপুরা পাড়ায় রোববার সকালে এক শিশু মারা যাওয়ার খবর জানতে পারি। পরে আমরা গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলি। ওই পরিবারের আরও ২ শিশু একই কারণে মারা গেছে। পরে জানতে পারি অন্য পরিবারের আরেকজন শিশুও মারা যায়। এ পর্যন্ত ওই এলাকা থেকে মোট ২১ শিশুকে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইমতিয়াজ হোসাইন বলেন, এখনো রোগ চিহিৃত করা যায়নি। তবে ঢাকায় পাঠানোর জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর সেই রোগ সম্পর্কে জানা যাবে।

এদিকে, ২৭ আগস্ট বিকেলে রোগ নির্ণয়ে বাংলাদেশ রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামে আসছেন।  তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বেশ কয়েকটি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ