শুক্রবার, এপ্রিল ২৬, ২০২৪
প্রচ্ছদবিনোদন সময়নৈবেদ্য থিয়েটারের নাটক চন্দ্রবিন্দু ২৬ জুলাই

নৈবেদ্য থিয়েটারের নাটক চন্দ্রবিন্দু ২৬ জুলাই

২৬ জুলাই ২০১৮ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে, সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে  মঞ্চস্থ হবে নৈবেদ্য থিয়েটারের ৩য় প্রযোজনা নাটক চন্দ্রবিন্দু। এটি নাটকের ৩য় প্রদর্শনী। নাটকটির গল্প ভাবনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন তরুন নির্দেশক রাজীর রেজা। তিনি বরাবরই একটু ঐতিহাOnoborda Thotharসিক বিষয় নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেণ, এ নাটকটিকে ঐতিহাসিক না বলে প্রাগঐতিহাসিক বলাযেতে পারে তবে এ কোন বাস্তব গল্প নয় এ নাটকটি রাজীব রেজার একটি ভাবনার ফসল। নি:সন্দেহে এটি একটি অসাধারণ গল্প। শুধু গল্প নয় এর পরিবেশনাও এক কথায় অসাধারণ। ফোক ধারার এমন একটি পরিবেশনা ভাললাগার মত।
বর্তমান এ উত্তরাধুনিক সময়ে দাঁড়িয়ে মানুষকে পিছনে ফিরিয়ে নেয়া আসলেই দুরহ কাজ, আর একাজটি খুব ভালভাবেই করা হয়েছে এ নাটকটিতে। ছোট রানী, উজির আর পুরহীতের চক্রান্তে কোলের শিশুকে নিয়ে ১৮বছরের বনবাসে যায় বড় রানী। গহীন জঙ্গলে অনেক প্রতিকুলতার মধ্যদিয়ে কন্যা চন্দ্রবিন্দু বড় হয়ে উঠে, এভাবে যখন ১৮ বছরের শেষপ্রায় তখনই কঠিন অসুখে পড়ে রাজপুরহীত বড়রানীর কছে ক্ষমাচাইতে এসে নতুন এক ভবিষ্যৎ বানী দেন তিনি। আর তাতে রাজকন্যা পুরুষ ছদ্দবেশে অস্ত্র শিক্ষার জন্য গুরুদেবের নিকট যায়। আর সেখানে উন্মুচিত হয় নতুন গল্প।
নাটকের প্রেক্ষাপট হল এমন,  সবার ওপরে মানুষ এই বিষয়কে ধরেই গড়ে উঠেছে এ নাটকের কাহিনি। জাতি-ধর্ম বা জন্ম পরিচয় দিয়ে মানুষ বিবেচ্য নয়, সকলের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক মানুষ হিসাবে। মহাভারতের কর্ণ বা একলব্যকে যুগে যুগেই দেখাযায়, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ চলে এখনও। আর চন্দ্রবিন্দু ? সে বর্ণমালার এমন এক অংশ যে কখনও একা পূর্ণাঙ্গ নয়, নিজেকে প্রকাশ করতে প্রয়োজন অন্যের সহযোগিতা, তেমনই মানুষ, আর তাই তো সংসার। তবে সবাই কি তার কাক্সিক্ষত অবলম্বনটা পায় ? আর পেলেও বা তা কতটুকু অর্থবহ হয়ে ওঠে- তার অনেকটাই এ নাটকে উঠে এসেছে। বর্তমান সময় থেকে অনেকটা পিছনে গিয়ে চন্দ্র রাজ্যকে পটভূমি করে চন্দ্রবিন্দু নামক চরিত্রসহ বেশ কিছু চরিত্রের মধ্যদিয়ে কালেকালে চলে আসা প্রেম, আকাক্সক্ষা, মানুষ ও মানবতার যুদ্ধকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এই নাটকের মধ্যদিয়ে।
নির্দেশক রাজীব রেজা বলেন, স্বপ্ন দেখা আমার নেশা আর সেই স্বপ্ন গুলোকে সাজাই ভিন্ন ভিন্ন রুপে। আর এ রুপায়নে যে আমাকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করে সে হল থিয়েটার। সেই রকম ভাবনার প্রতিফলন এরকম একটি গল্প ও তার প্রয়োগ। কেমন গল্প বা কেমন তার প্রয়োগ সে বিচারের ভার দর্শকদের হাতে। দর্শকদের দেবতা সম্বোধন করে যে কাজ করেছি, তা কেবল দেবতাগণ তুষ্ট হলেই সার্থকতা। এ নৈবেদ্য সাজিয়েছি নিজের সবকিছু দিয়ে। এর সাথে যারা আছে সকল সফলতাই তাদের, ত্রুটি আর অপূর্ণতাটুকু আমার। জ্ঞানের দৈন্য আর নানা সীমাবদ্ধতা নিয়ে উপস্থাপিত বিষয়ে আপনাদের মতামতই পারে আমাকে সমৃদ্ধ করতে। সকল দর্শকদের প্রতি রইল অশেষ কৃতজ্ঞতা। জয় হোক নাটকের, মঙ্গল হোক নৈবেদ্য’র।
নাটক রচনা সালাহ্উদদীন আহমেদ মিলটন, পোশাক পরিকল্পনা ও সেট ডিজাইন কানিজ ফাতেমা কাসেম, সংগীত: এজানূর রহমান, ইসমাইল ভুইয়া, আলোক : কাওসার, মঞ্চে যারা আছেন :  সিরাজউল ইসলাম দাদু, কানিজ, রাজীব রেজা, ইমরুল আল হাসান, রুনা, নৌশিন, হৃদয় খান, শাকিব, শুভ রায় ।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ