চলতি মাসেই তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সরবরাহ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। তিনি বলেন, চলতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে একটা ট্রায়াল রান শুরু করতে পারবো, সেদিন থেকে ৫০০ এমএমসিএফ গ্যাসের সরবরাহ শুরু হবে। আরেকটা জাহাজ আসছে সেটাও ৫০০ এমএমসিএফের, আগামী বছরে তার সরবরাহ শুরু হবে। এর পরের বছর আরও ৫০০ এমএমসিএফের এলএনজি আসবে। ৪ জুলাই দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘স্ট্র্যাটেজিক এনার্জি সেক্টর ডায়ালগ, ডেটারমিনিং বাংলাদেশ’স ইনফ্রাস্ট্রাকচার নিডস ফর টুডে এন্ড টুমোরো’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, গ্যাস সরবরাহের জন্য মহেশখালি থেকে আনোয়ারা পর্যন্ত পাইপ লাইন প্রস্তুত হয়ে গেছে। আরেকটা লাইন হচ্ছে সেটা আরও বড়। প্রচুর স্রোত থাকায় জাহাজটা আসার পর গ্যাস সরবরাহে একটু সময় লেগেছে। তিনি বলেন, এ মাসের মধ্যে সিস্টেমে এলএনজি এসে যাবে। সারাদেশের মানুষ এতে উপকৃত হবে। কাতার ও ওমানের সাথেও এলএনজি নিয়ে চুক্তি হয়েছে। খাতটিতে বিনিয়োগকারী ও শিল্প উদ্যোক্তাদেরও এগিয়ে আসা উচিত।
এলএনজি’র দাম বাড়বে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে ধীরে ধীরে দাম বাড়ানো। কারণ এটা ব্যবসা সম্পৃক্ত সিদ্ধান্ত। হটাৎ করে দাম বেড়ে গেলে এটা অনেকেই সহ্য করতে পারবে না। কম দামে দিতে গিয়ে কিছুটা ঘাটতি হবে। বিশেষজ্ঞরা বলবে, এটা ভর্তুকি। বিদেশীরা ভর্তুকি নিয়ে এখানে সমালোচনা করে, কিন্তু এর কারণে যদি কর্মসংস্থান হয়, তাহলে তো সেটা্টাই ভালো।
এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ ( পিআরআই) যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পিআরআই চেয়ারম্যান ড. জায়েদ-ই সাত্তার। আরও বক্তব্য রাখেন অর্থ সচিব মুসলিম চৌধুরি, বিদ্যুৎ সচিব ডা. আহমেদ কায়কাউস, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন। এছাড়াও দেশি বিদেশী বিশেষজ্ঞদের অংশ গ্রহনে মোট তিনটি সেশনে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
